ঢাকা বোর্ডের এইচএসসির অর্থনীতি প্রথম পত্র পরীক্ষার বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ভুল ছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রশ্নে দেশের ‘নিকাশ ঘর’ কোনটির জায়গায় ‘বিকাশ ঘর’ উল্লেখ করা হয়েছে। এতে কিছু শিক্ষার্থী বিভ্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে এইচএসসির অর্থনীতি প্রথম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ঢাকা বোর্ডের ২৮১টি কেন্দ্রে ৪৪ হাজার ৮৮৩ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেন।
ঢাকা বোর্ডের এক পরীক্ষার্থীদের দেওয়া প্রশ্ন গণমাধ্যমের হাতে আছে। বহুনির্বাচনি অংশের ক গ্রুপের ৩০ নম্বর প্রশ্নে বলা হয়, বাংলাদেশের বিকাশ ঘর কোনটি? উত্তর হিসবে দেওয়া হয়েছে, জনতা ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংক। ঢাকা বোর্ডের গ সেটের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের ২২ নম্বর ক্রমিকেও একই প্রশ্ন দেখা যায়।
পরীক্ষার্থীরা জানান, এ প্রশ্নটি হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের নিকাশ ঘর কোনটি। কিন্তু এটি ছাপা হয়েছে বিকাশ ঘর। তারা বলছেন, কেউ কেউ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আর কেউ বুঝতে পারেননি। যারা বুঝতে পারেননি তারা বিভ্রান্ত হয়েছেন। কয়েকজন পরীক্ষার্থী বিভ্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন কয়েকজন অভিভাবক।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কয়েকজন শিক্ষকরা বলেন, নিকাশ ঘর হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল বা দেশের তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো তাদের পরস্পরের মধ্যকার দেনাপাওনা নিষ্পত্তিকরণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দিষ্ট কোনো স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে একত্রিত হয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে আন্তঃব্যাংকিং দেনাপাওনা নিষ্পত্তি করে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের নিকাশ ঘর কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু এখানে ঢাকা বোর্ড নিকাশ ঘরকে বিকাশ ঘর লিখেছে।
এদিকে অর্থনীতি প্রথম পত্র পরীক্ষার নৈবিত্তিক প্রশ্ন ভুলের বিষয়ে বোর্ডের কর্মকর্তাদের কোন মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমদ বলেন, ‘ভুলের বিষয়ে বোর্ড বা শিক্ষকরা কেউ কিছু জানায়নি। যদি প্রশ্নে ভুল থাকে তবে পরীক্ষাথীরা পুরো নম্বর পাবে। এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে। কোনোভাবেই পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।’
ইবাংলা / নাঈম/ ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১