‘নৌকা ডুবে যাবে হাতি উঠলে’বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। মেয়র পদে হাতি প্রতীক পাওয়ার পর গণমাধ্যমের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি।।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলরদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর)। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার পেয়েছেন হাতি প্রতীক।
প্রতীক পাওয়ার পর তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, হাতি উঠলে কিন্তু নৌকা ডুবে যায়। অনেকে প্রশ্ন করেন- কেন আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আমি জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতি করলেও নারায়ণগঞ্জের জনগণের চাহিদা ও তাদের আকাঙ্ক্ষার ব্যাপারে আমাকে সচেতন থাকতে হয়। জনগণের প্রয়োজনেই আমাকে এখানে নির্বাচনে দাঁড়াতে হয়েছে।
অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, এ নির্বাচন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনের নির্বাচন, ১৮ বছরের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত সিটি করপোরেশনকে মুক্ত করার নির্বাচন। আমি নির্বাচিত হলে নাসিক ভবন হবে জনগণের ভবন, সিটি করপোরেশন হবে সেবামূলক করপোরেশন। যেখানে গরিবের মাথার ছাদ কেড়ে নিয়ে ধনীদের জন্য ফ্ল্যাট বানানো হবে না, সেবা না দিয়ে ট্যাক্স বাড়িয়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্তকে শোষণ করা হবে না।
মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জেলা নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে মেয়র প্রার্থীসহ ১৭৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার।
এ সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী নৌকা এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার হাতি প্রতীক পেয়েছেন।
এছাড়া মেয়র পদে আরও পাঁচ প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মাসুম বিল্লাহ দলীয় প্রতীক হাতপাখা, খেলাফত মজলিশের প্রার্থী এ বি এম সিরাজুল মামুন দলীয় প্রতীক দেয়াল ঘড়ি, খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন বটগাছ, কল্যাণ পার্টির প্রার্থী রাশেদ ফেরদৌসের দলীয় প্রতীক হাতঘড়ি বরাদ্দ পেয়েছেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম বাবু বিকাল পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দ নিতে আসেননি।
ইবাংলা / নাঈম/ ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১