মাদারীপুরে নির্বাচনী সহিংসতার এক মাস পেরিয়ে গেলেও থানায় এখনো ক্ষতিগ্রস্তদের মামলা না নেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ বলছে, এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এখনো পর্যন্ত তা থানায় মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়নি। বিষয়টি এখনো তদন্তধীন রয়েছে।
মাদারীপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, ‘গত ২৮ নভেম্বর মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের নির্বাচনের পরে ২৮ ও ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী নেসারউদ্দিন মুন্সীর লোকজন আরেক মেম্বার প্রার্থী লিটন কাজীর সমর্থক ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল শেখ, খোকন শেখ, বাদল শেখ, হারুণ শেখ, জলিল শেখ, সোহেল শেখ, হযরত শেখ ও কুদ্দুস শেখের বাড়িঘর ও দোকানপাট কুপিয়ে ভাংচুর করা হয়। এসময় কুদ্দুস শেখকে গুরুতর ভাবে কুপিয়ে আহত করা হয়। এতে তার ১৭টি সেলাই দেওয়া হয়। বর্তমানে সে ঢাকার ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এই ঘটনার পরে ২ ডিসেম্বর স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল শেখ বাদী হয়ে ৩০ জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে প্রায় ১ মাস হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত অভিযোগটিকে থানায় নথিভুক্ত করা হয়নি।
থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরকারী বাবুল শেখ বলেন, ‘আমি তৃণমূলের আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিক কর্মী। কিন্তু আমরা আমাদের এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নেসারউদ্দিনকে মেম্বার প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেইনি। আমরা লিটক কাজীকে সমর্থন দেই। কিন্তু লিটন কাজী নির্বাচনে নেসারউদ্দিনের কাছে হেরে যায়। নেসারউদ্দিন নির্বাচনে জিতেই আমাদের বাড়িঘর, দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। সেময় কুদ্দুস শেখকে একা পেয়ে বেধড়ক ভাবে কুপিয়ে আহত করে। কিন্তু থানায় মামলা দিতে নিয়মিত যাই। কিন্তু পুলিশ আমাদের একটি অভিযোগ নিলেও সেটিকে এখনো পর্যন্ত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেনি।
ক্ষতিগ্রস্ত খোকন শেখ, আবু আলী শেখ ও জলিল শেখ বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা এক প্রার্থীকে সমর্থন করতেই পারি। তাই বলে এভাবে আমাদের বাড়িঘরে হামলা করে ভাংচুর করবে? তারপরে কুদ্দুস শেখকে মারাত্মক ভাবে কুপিয়ে আহত করেছে। অথচ আমরা থানায় মামলা দিলেও আমাদের মামলা এক মাস ধরে এন্ট্রি করতেছে না। থানায় গেলেই নানা ধরনের তালবাহানা করে পুলিশ। আমরা ন্যায় বিচার চাই।’
এবিষয়ে মাদারীপুর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘আমরা বাবুল শেখের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি এখনো তদন্তধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হবে।’
ইবাংলা/এইচ/ ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১