নতুন বছরের নতুন আলোয় শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে নতুন বই। বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যবই পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত খুদে শিক্ষার্থীরা। করোনার কারণে এ বছর বই উৎসবের চেনারূপ পাওয়া না গেলেও স্কুলে স্কুলে বই বিতরণ কার্যক্রম ঠিকই হয়েছে।
চেনা ঘ্রাণ, চেনা আমেজ। হাতে ঝকঝকে নতুন পাঠ্যবই। বইয়ের গন্ধে প্রাণখোলা হাসিতে খুনসুটিতে কোমলমতি শিশু-কিশোররা। বর্ণমালার ছন্দে হারিয়ে যাওয়ার উল্লাস তাদের চোখে-মুখে। হিমের পরশমাখা শুভ্র সকালে একরাশ আনন্দ-উচ্ছ্বাস ডানা মেলে স্কুলের প্রাঙ্গণে। এ দৃশ্যের উৎসব ছড়িয়ে পড়ে দেশের সব ক’টি বিদ্যালয়ে।
শিশুরা বলছে, নতুন বছরের বই পেয়েছি। আমরা অনেক খুশি। বাসায় গিয়ে বইগুলো পড়ব।প্রতি বছরের মতো এবার নেই চিরায়ত সেই বই উৎসবের আনন্দঘন পরিবেশ। সংশয় কাটিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনে ঠিকই শিক্ষার্থীরা মেতেছে নতুন বইয়ের আনন্দে।
জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করতে প্রতি বছরের মতো এবারও বছরের প্রথম দিনে নতুন ক্লাসের নতুন বই তাদের হাতে। অজানাকে জানতে চাওয়ার আনন্দ শিক্ষার্থীদের মনে। তাইতো ফুরফুরে মেজাজে নতুন বই উঁচিয়ে মাঠজুড়ে ছুটাছুটির উচ্ছ্বাস কচি-কাঁচাদের।
শিক্ষার্থীদের উল্লাস দেখে অভিভাবক আর শিক্ষকদের মুখেও ফুটে ওঠে তৃপ্তির হাসি।চাহিদার তুলনায় এখনও অনেক বিদ্যালয়ে পৌঁছেনি সমপরিমাণ বই। কয়েকদিনের মধ্যেই সব বই পাওয়া যাবে বলে জানান শিক্ষা কর্মকর্তারা।
এদিকে বছরের প্রথম দিন পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি নিজ মাতৃভাষার বই পেয়ে উচ্ছ্বসিত পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশু-কিশোররা।নতুন বছরে নতুন প্রত্যাশায় নতুন শিক্ষার আলোয় দিগন্ত ছোঁয়ার আশা শিক্ষার্থীসহ অভিভাবক ও শিক্ষকদের।
ইবাংলা / নাঈম/ ০১ জানুয়ারি, ২০২২