তীব্র শীতে কাঁপছে দিনাজপুরসহ দেশের উত্তর জনপদ। অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহ আর হিমেল বাতাসের কারণে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিনাজপুরে আরও কমেছে তাপমাত্রা। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টা দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও সকাল ৯টায় তাপমাত্রা কমে এসেছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটিই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, দিনাজপুরসহ এই জনপদে শৈত্যপ্রবাহ ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হিম শীতল বায়ু অব্যাহত রয়েছে। সকালে এই বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হলেও বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের এই গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হয়। ফলে সকাল ৬টার তুলনায় সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরও কমেছে।
তিনি আরও জানান, সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু সকাল ৯টায় এই তাপমাত্রা কমে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এটিই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দিনাজপুরসহ এই জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে চরমে।
নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বিপাকে। দিনাজপুর সদর উপজেলার নশিপুর গ্রামের নির্মাণশ্রমিক আব্দুর রহিম জানান, সারা দিন কাজ কাজ করতে হয় পানি, বালু আর সিমেন্ট হাতে নিয়ে। কিন্তু এই শীতে এই কাজ করতে হাত-পা জড়োসড়ো হয়ে আসছে। এই অবস্থায় তীব্র এই শীতে কাজ করা কঠিন। আবার কাজ না করলেও সংসারের আহার জোটে না। এর পরও বাধ্য হয়ে কাজে যাননি তিনি।
ইবাংলা /টিআর / ১৯ জানুয়ারি