নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় ষষ্ঠ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে রসুলপুর ইউনিয়নে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মী সম্মেলনে ডাক্তার প্রতাপ চন্দ্র মুন্ডার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ জাহিদ হাসান বিপ্লব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জনাব ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব ফরিদ আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জনাব আলহাজ্ব মোঃ সরকার কামাল উদ্দিন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জনাব আবেদ হোসেন মিলন সহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
কর্মী সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, পরিবারের লোকজন তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা স্বামী পরিত্যক্তা বোন পঙ্গু ভাইকে ফেলে চলে যেতে পারে কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে ফেলে পালায় নাই, তাদেরকে ভাতা দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। আপনারাই সিদ্ধান্ত নিবেন আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে থাকবেন না যারা এতিমের টাকা মেরে খায় তাদের পাশে থাকবেন, আমরা আশাবাদী আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আর দশ দিন বাকি এ নির্বাচনে ৫ নং রসুলপুর ইউনিয়ন এ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকার মাঝি মোতালেব হোসেন বাবর। আজকের এই কর্মীসভা থেকে আমি প্রত্যেককে বলতে চাই, প্রতিটা গ্রামে, প্রতিটা বাড়িতে, নৌকা প্রতীকের জন্য আপনাদের ভোট চাইতে হবে। তিনি দলের বিদ্রোহী নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে নেতা হিসেবে মানবেন কিন্তু তার নির্দেশনাকে মানবেন না, এটা কখনো হতে পারে না।
তিনি বলেন, আজকে যারা দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তারা সেখান থেকে সরে আসেন। তাছাড়া আমাদের গঠনতন্ত্রের যে নিয়ম কানুন আছে সে গঠনতন্ত্রের নিয়ম ব্যবহার করে আপনাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করার ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এখনো সময় আছে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজেকে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে যে পরিচয় দেন সেটা কিন্তু খুব খারাপ হবে। আমরা দেখেছি রসুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি আমরা আশা করি এ নির্বাচনে অবশ্যই আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জনাব মোতালেব হোসেন বাবর কে বিজয়ী দেখব ইনশাআল্লাহ।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবেদ হোসেন মিলন বলেন, ১৯৯৬ সালের ১২ ই জুন এই রসুলপুরের মানুষ যারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন। তারা নিশ্চয়ই ভুল করেন নাই ২০০৮ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর যারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন তারা নিশ্চয়ই ভুল করেন নাই। ২০১৪ সালে যারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন তাঁরা নিশ্চয়ই ভুল করেন নাই।
তিনি বলেন, সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর আপনারা যারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন তাহারা নিশ্চয়ই ভুল করেন নাই। তার কারণ নৌকা মার্কায় ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে মানুষের উন্নয়ন হয়। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে বছরের প্রথম দিনে বিনা টাকায় বই পাওয়া যায়। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে বিনা টাকায় বিধবা ভাতা পাওয়া যায়। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ হয়। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে আমরা ধানের বেশি মূল্য পাই, এটাই নৌকা মার্কার উন্নয়ন, এটাই শেখ হাসিনার উন্নয়ন, এটাই আওয়ামী লীগের উন্নয়ন।
ইবাংলা/ টিআর/ ২১ জানুয়ারি