নওগাঁর মান্দা উপজেলার কোচড়া বাদলঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ২৭ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল ফেল আসার পর খাতা পুন:নিরীক্ষণে পর ফেল থেকে পাশ করেছেন ২২ জন শিক্ষার্থী। শনিবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে এসএসসির খাতা পুন:নিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলে এই তথ্য পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২জন শিক্ষার্থী।
প্রতিষ্ঠান সুত্রে জানা যায়, গত ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে এসএসসি ও সমমানে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। সেই ফলাফলে মান্দার কোচড়া বাদলঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৭ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল ফেল আসে। একসাথে প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান বিভাগের সকল শিক্ষার্থীরা ফেল করার কারণ খুঁজতে বেরিয়ে আসে তাদের জীব বিজ্ঞান বিষয়ের ব্যবহারিক খাতার নম্বরপত্র কেন্দ্র সচিব বোর্ডে না পাঠানোয় এই ২৭ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল ফেল আসে।
পরে খাতা পুন:নিরীক্ষণের জন্য রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করা হয়। আবেদনটি আমলে নিয়ে বোর্ড তাদের ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর যোগ করে পুন:নিরীক্ষণের ফলাফলে সেই প্রতিষ্ঠানের ২২ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেন। তাদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২জন শিক্ষার্থী।
এবিষয়ে কোচড়া বাদলঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবাস চন্দ্র সরকার বলেন, কেন্দ্র সচিব ভুল করে আমাদের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক খাতার নম্বরপত্র আমরা পাঠানোর পরেও তিনি বোর্ডে পাঠাননি। তার এ ভূলের কারণে আমাদের পরীক্ষার্থীদের ফলাফল ফেল আসে। এরপর পুনঃনিরীক্ষণে তারা পাশ করেছেন।
অভিযুক্ত উপজেলার সাহাপুর ডি এ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব গোলাম সারোয়ার স্বপন তার কোন ভূল স্বীকার করতে নারাজ। কেন্দ্র সচিব হিসেবে তিনি তার অদক্ষতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে আমাকে ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর পত্র না পাঠানোর কারণে আমি পাঠাতে পারিনি। পুনঃনিরীক্ষণে তাদের রেজাল্ট এসেছে। আপনি কেন্দ্র সচিব হিসাবে কি প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সাথে এ বিষয়ে কোন রকম যোগাযোগ করেছিলেন কি এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর অবশ্য তিনি দিতে পারেননি।
ইবাংলা/ টিআর/ ২৩ জানুয়ারি