এক শুক্রবার থেকে আরেক শুক্রবার, সাত দিনের ব্যবধানে আবারও আলোচনায় সাকিব আল হাসান। বায়ো-বাবল ভঙ্গের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেই পার পেয়েছেন। এবার যা করলেন, তাতে আগের সব কিছুকেই ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো।
আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের স্টাম্পে লাথি দেওয়া ও স্টাম্প আছাড় দেওয়ার ঘটনায় শাস্তির মাত্রাটা কেমন, এই আলোচনাই ক্রিকেট পাড়ায়। আইন অনুযায়ী, মাঠের আচরণে লেভেল থ্রী ভঙ্গ করেছেন সাকিব। সে ক্ষেত্রে তিন থেকে পাচ ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন, সাথে আর্থিক জরিমানাও গুনতে হবে সাকিবকে। বেশি হলে টুর্নামেন্টের বাকি অংশই আর খেলতে পারবেন না টাইগার অলরাউন্ডার।
ব্যাটসম্যান এলবিডব্লিউ ছিলেন কি ছিলেন না, আম্পায়ার পক্ষপাতিত্ব করেছেন কিনা, সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক বিতর্ক হতেই পারে। তবে সাকিব যা করেছেন, তা যে ঘোরতর অন্যায়, এ নিয়ে কোনো তর্ক থাকতেই পারে না। পুরো ঘটনা মাঠে বসেই দেখেছেন বিসিবির কর্তারা। ম্যাচ শেষ হতেই এই ঘটনার ব্যাপারে সিসিডিএম চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাওয়া। অপ্রত্যাশিত হলেও শাস্তির মুখে পড়ছেন সেটাও নিশ্চিত।
বিসিবি’র সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ জানান, এটা আসলেই অপ্রত্যাশিত। খেলার মধ্যে এক্সসাইটমেন্ট এসে যেতে পারে। এ ঘটনায় ম্যাচের আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি একটা রিপোর্ট দেবে। তারপর যদি কোন আইন ভঙ্গ হয় তাহলে আইন অনুসারেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগেও বেশ কয়েকবার অসোভন আচরণের কারণে শাস্তি পেয়েছেন সাকিব।