পৃথিবীতে টিকে থাকার শক্তিই হচ্ছে উদ্ভাবন
নিজস্ব প্রতিবেদক
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আজকের পৃথিবীতে টিকে থাকার শক্তির নাম হচ্ছে উদ্ভাবন। ব্যবসা, শিল্প-বাণিজ্য থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উদ্ভাবন এবং এর প্রয়োগ করতে না পারলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা যাবে না। তিনি বলেন বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে প্রয়োজন শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর।
প্রচলিত শিক্ষা থেকে বেরিয়ে আসার পাশাপাশি মন্ত্রী উদ্ভাবন ও বাণিজ্যিকীকরণ করে তার মেধাসম্পদ রক্ষায় উদ্ভাবকদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় গ্রামীণ ফোন আয়োজিত জিপি এক্সিলারেটর শীর্ষক উদ্ভাবন বিষয়ক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল প্রযুক্তির মেধা সম্পদ রক্ষায় সরকারের গৃহীত উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, তোমরা আজ যা উদ্ভাবন করছো সেটাই শেষ নয় সামনে এগিয়ে যেতে গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএন্ডডি) প্রয়োজন।
তিনি একটি চীনা প্রযুক্তি কোম্পানির দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, ২০১৯ সালে উদ্ভাবনের পেটেন্ট নিবন্ধনের জন্য সারা ইউরোপ ও আমেরিকা যেখানে সাড়ে তিন হাজার পেটেন্ট নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে সেখানে পাঁচ হাজারেরও বেশি পেটেন্ট নিবন্ধনের জন্য চীনা কোম্পানি এককভাবেই আবেদন করেছে।
তিনি বলেন, আরএন্ডডি‘র জন্য ঐ কোম্পানিটি প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। আমাদের ছেলে মেয়েরা সার্টিফিকেট ‘কনভার্ট’ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে না কারণ চাকুরীর জন্য যে দক্ষতার দরকার সেটি তাদের নাই।
তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের দিন চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আসার আগেই আবেদন হারিয়ে ফেলেছে এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তির সাথে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের সাথে বসবাসের জন্য নিজেদের এখনই তৈরি করতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রচলিত শিক্ষার সাথে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করার বিকল্প নেই।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে পৃথিবীতে প্রথম ডিজিটাল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ বছরে অতীতের শতশত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তিতে উন্নত বিশ্বের সমান্তরালে চলার সক্ষমতা অর্জন করেছে। মন্ত্রী উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবক তৈরিতে গ্রামীণ ফোনের গৃহীত কর্মসূচির প্রশংসা করেন।
গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান উদ্যোক্তা উন্নয়নে গ্রামীণ ফোনের বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, দক্ষ জনশক্তির বিপুল বৈশ্বিক চাহিদা আছে। দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে বিপুল জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে গ্রামীণ ফোনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ।
ইবাংলা/ ই/ ১০ ফেব্রুয়ারি,২০২২