শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবির বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সিলেট সার্কিট হাউসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উপাচার্যকে অপসারণে তাদের একটি দাবি ছিল। সে ব্যাপারে আমরা আগেও তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, আজকেও বলেছি। তারা তাদের বক্তব্য আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন। আমরা অত্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে তাদের সেই বক্তব্যগুলো শুনেছি। আমরা তাদের যে বক্তব্য, সেই বক্তব্য মহামান্য আচার্যের কাছে অবহিত করব।
দীপু মনি বলেন, আচার্যই একজন উপাচার্যকে নিয়োগ দেন কিংবা অপসারণ করেন, অতএব আমরা আচার্যকে অবহিত করব। বাকি সিদ্ধান্ত আচার্য গ্রহণ করবেন। গত ১৩ জানুয়ারি শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের শুরু। রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী।
১৬ জানুয়ারি থেকে উপাচার্য ফরিদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন। ২৬ জানুয়ারি জাফর ইকবালের আশ্বাসে তারা এক সপ্তাহের অনশন ভাঙেন। সে সময় সরকারের উচ্চপর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য জাফর ইকবালের কাছে তারা পাঁচটি দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো ছিল- উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগসহ ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ ও প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণ, ক্যাম্পাসের সব আবাসিক হল সচল রাখার বিষয়ে উদ্যোগ, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সাহায্য দেয়া, পাঁচ সাবেক শিক্ষার্থীর জামিন ও অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং অনশনরত শিক্ষার্থী ও উপাচার্যের নির্দেশে পুলিশের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ভার বহন।
ইবাংলা/ নাঈম/ ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২