সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীকে অপহরণের চেষ্টা ৪ ইরানির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের এক সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীকে অপহরণের ষড়যন্ত্রের দায়ে চার ইরানিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এফবিআই। তারা তেহরানের গোয়েন্দা এজেন্ট বলে দাবি করা হচ্ছে।

ওই সাংবাদিক ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করে লেখালেখি করতেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) প্রকাশিত মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের অভিযোগপত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানি গোয়েন্দারা বিদেশি অ্যাকটিভিস্টদের কৌশলে এমন জায়গায় ভ্রমণে যেতে প্রলুব্ধ করেন, যেখান থেকে তাদের অপহরণ কিংবা ইরানে ফেরত পাঠানো যায়। মার্কিন কর্তৃপক্ষ এমন দাবি করেছে।

তবে এই অভিযোগপত্রে ষড়যন্ত্রের টার্গেটের নাম উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু রয়টার্স দাবি করেছে, ইরানি-আমেরিকান সাংবাদিক মাসিহ আলীনাজেদকে অপহরণের টার্গেট করেছিল ইরানি গোয়েন্দারা। তিনি মার্কিন সরকারি তহবিলের সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা পার্সিয়ানে লেখালেখি করেন।

এছাড়া ইরানের মানবাধিকার ইস্যুতেও তিনি প্রতিবেদন লেখেন। তবে আলীনেজাদকেই ষড়যন্ত্রের নিশানা করা হয়েছিল কিনা, জানতে চাইলে মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের কোনা মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এ নিয়ে জানতে চাইলে ওই সাংবাদিক বলেন, আমি এখন মানসিকভাবে বিপর্যয়ের মধ্যে আছি। আট মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (এফবিআই) তার কাছে ষড়যন্ত্রকারীদের ছবি নিয়ে আসে। এরপর থেকে সংস্থাটির সঙ্গে কাজ করছেন তিনি।

আলীনেজাদ বলেন, এফবিআই আমাকে দেখিয়েছে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান খুব কাছে চলে এসেছিল। ব্রুকলিনে সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি করতে মিথ্যা অজুহাতে বেসরকারি গোয়েন্দাদের ভাড়া করেছিল ইরান।

কৌঁসুলিরা বলেন, তাকে অপহরণ করতে তার পরিবার ও বাড়িতে ভিডিও করা হতো। নিউইয়র্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলার অ্যাটর্নি অড্রেই স্ট্রস জানান, এই চার বিবাদী তাদের শিকারকে বলপূর্বক ইরানে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। আর ইরানে নিয়ে যেতে পারলে তার ভাগ্য মারাত্মক অনিশ্চয়তা পড়ে যেতো।

আলীনাজেদ ও তার পরিবারের ওপর নজরদারি করতে প্রাইভেট গোয়েন্দাদের ভাড়া করেছিল ইরানিরা। দাবি করা হয়, তিনি আবুধাবি থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। ঋণ পরিশোধ না করতে তিনি দেশ থেকে পালিয়েছেন। কৌঁসুলিরা বলেন, কীভাবে নিউইয়র্কের বাইরে নিয়ে ওই সাংবাদিককে উচ্চগতির নৌকায় করে কারাকাসে নেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা করেছিল ওই চার ইরানি গোয়েন্দা।

এফবিআইয়ের কাউন্টারইন্টেলিজেন্স বিভাগের সহকারী পরিচারক অ্যালন ই. কথলার জুনিয়র বলেন, আমাদের নাগরিকদের ইরানে নিয়ে যেতে মিশন পরিচালনা করে ইরান। এই সাংবাদিককে তার বাকস্বাধীনতার প্রতিশোধ নিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

ই-বাংলা/ আইএফ/ ১৪ জুলাই, ২০২১

Contact Us