শিল্প বিপ্লব ব্রডব্যান্ড নীতিমালা করা সময়ের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
সকল অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের উপযোগী একটি ব্রডব্যান্ড নীতিমালা করা সময়ের দাবির কথা বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন।
ফাইভ-জি প্রযুক্তির আলোকে ব্রডব্যান্ড এমবিপিএস নয় তা জিবিপিএস- এ রূপান্তর করা অপরিহার্য বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি ২০৪১ সালকে সামনে রেখে ডিজিটাল প্রযুক্তির সম্ভাব্য পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নীতিমালার প্রণয়নের মাধ্যমে জনগণের চাহিদা উপযোগী ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিটিআরসি আয়োজিত ব্রডব্যান্ড আইসিটি অবকাঠামো, সেবা ও সংযুক্তি বিষয়ক বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২২ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বিটিআরসি‘র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: খলিলুর রহমান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে এলায়েন্স ফর এফোর্ডেবল ইন্টারনেট-এর এশীয় প্রশান্তমহাসাগীয় প্রধান আনজু মঙ্গল, এটুআই এর পলিসি এডভাইসার আনির চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লতিফা জামাল প্রমূখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসি‘র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ১৯৯৬ সালে অনলাইন ইন্টারনেট ও ২০১৩ সালে দেশে থ্রিজি প্রযুক্তি চালু হওয়ার পর মোবাইল ইন্টারনেট যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে তার ১৮ বছরের শাসনামলে দেশে তথ্য প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে।
তিনি উপজেলা পর্যন্ত ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক গৃহীত উদ্যোগের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ফাইভ-জির মাধ্যমে আমরা যে ডিজিটাল মহাসড়ক নির্মাণ করছি তা হবে ৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার অন্যতম প্রধান শক্তি।
মন্ত্রী ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, ২০০৮ সালে দেশে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের মূল্য ছিলো ২৭ হাজার টাকা। বর্তমানে তা মাত্র ৬০ টাকায় পাওয়া যায়। তিনি মোবাইল ইন্টা্রনেট প্যাকেজের অসাঞ্জস্যতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের সীমা নির্ধারিত থাকা উচিৎ নয়।
তিনি নিয়ম নীতির আলোকে জনগণের সন্তুষ্টির ওপর খেয়াল রেখে প্যাকেজ নির্ধারণে সংশ্লিষ্টদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান। মন্ত্রী যে কোন নীতিমালা প্রণয়ন অত্যন্ত কঠিন কাজ বলে উল্লেখ করেন এবং ব্রডব্যান্ড পলিসিকে আগামী ২০ বছরের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন। কর্মপরিকল্পনা যথার্থ না হলে কোন নীতিমালাই স্বয়ং সম্পূর্ণতা পায় না বলে উল্রেখ করেন দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব নতুন ব্রডব্যান্ড নীতিমালা সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বেগবান করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একটি লাগসই নীতিমাল প্রণয়নে তিনি অংশীজনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
বিটিআরসি চেয়ারম্যন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ছিলো বলেই কোভিডকালেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অবস্থা সুদৃর রাখতে সক্ষম হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী করতে বিটিআরসি নিরলসভাবে কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইবাংলা/ ই/ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২