রুমায় একই পরিবারের ৫ হত্যায় ২২ জন গ্রেফতার

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের রুমায় কারবারীসহ চার ছেলেকে হত্যার ঘটনায় রুমা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে নিহত কারবারীর ল্যাংরুই ম্রো বড় ছেলের বউ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে নিহত কারবারীসহ ৫ জনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আবুপাড়ার মৃত আবু আরং ম্রোর ছেলে রুইতু ম্রো (৫০), রুইতু ম্রোর ছেলে ইংচং ম্রো (২৬), মাংজং ম্রো (২৮), নিয়াকক ম্রোর ছেলে ক্রংপং ম্রো (৩৮), মেনকং ম্রোর ছেলে পাসিং ম্রো (২২), রুইতু ম্রোর ছেলে ক্রংতন ম্রো (৩৫), ক্রাতপং সিংচাং ম্রো (৩৯), থনলক ম্রোর ছেলে রিংয়ং ম্রো (৩৫), মেনকং ম্রোর ছেলে ইজাং ম্রো (২৭)।

সাখকয় ম্রোর ছেলে থনলক ম্রো (৩৫), সাকখয় ম্রোর ছেলে পালে ম্রো (২৫), লংঙি ম্রোর ছেলে ক্লাংসাই ম্রো (২০), মেনকং ম্রোর ছেলে মেনপ্রে ম্রো (২০), থনলক ম্রোর ছেলে খংপ্রে ম্রো, থনলক ম্রোর ছেলে কাইং প্রে ম্রো (১৮), ক্রাতপুং ম্রোর ছেলে মেনরাও ম্রো (২২), লংঙি ম্রোর ছেলে মেনয়া ম্রো (২৬), কামপাও ম্রোর ছেলে খনতন ম্রো (৪১), লংঙি ম্রোর ছেলে মেনয়ং ম্রো (২৪), সাকখয় ম্রোর ছেলে চাংরাও ম্রো (৩১), নিয়াকক ম্রোর ছেলে থংওয়াই ম্রো (২৪) ও লংঙি ম্রোর ছেলে মেনপং ম্রো (৩৭)। তারা সবাই রুমার গ্যালেংগা ইউনিয়নের আবুপাড়ার বাসিন্দা।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পাড়াবাসীদের সাথে কারবারী পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে পাড়াবাসীদের সাথে কারবারী পরিবারের তর্কাতির্কির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধলে পাড়াবাসীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে পাড়াকারবারী (পাড়া প্রধান) ও তার ছেলেদের উপর হামলা চালায়।

এতে কারবারীসহ তার ৪ ছেলে নিহত হয়। নিহতরা হলেন আবুপাড়ার কারবারী ল্যাংরুই ম্রো (৬০) ও তার চার ছেলে রুংথুই ম্রো (৪০), লেংরুং ম্রো (৩৭), মেনওয়াই ম্রো (৩৫) ও রিংরাও ম্রো (২৫)।

এ বিষয়ে রুমা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রাকিব উদ্দিন বলেন, রুমায় ৫ জনকে হত্যার ঘটনায় কারবারীর ছেলের বউ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ২২ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

প্রাথমিক ভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত আসামিরা। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হচ্ছে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ইবাংলা/ ই/ ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

Contact Us