এমবিবিএস সনদ জালিয়াতি, ভূয়া চিকিৎসক গ্রেফতার
মোঃ জামাদুল ইসলাম, আদমদীঘি প্রতিনিধি
বগুড়ার আদমদীঘিতে অন্যের এমবিবিএস সনদ জালিয়াতি করে চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণার দায়ে এক জনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে আদমদীঘি উপজেলার আল সাফি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ অভিযান পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে ছিলেন নির্বাহী হাকিম ও বগুড়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রুপম দাস।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আব্দুর রশিদ সরকার। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগরের মৃত বাহার উদ্দিন সরকারের ছেলে।
জানা গেছে, প্রতারক আব্দুর রশিদ একজন পল্লী চিকিৎসক। ১৯৯০ সালে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর আর পড়ালেখা করেননি। তবে ভুয়া এমবিবিএস ডিগ্রি ব্যবহার করে প্রায় এক যুগ ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে রোগী দেখে বেড়াতেন আব্দুর রশিদ।
নামের মিল থাকায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার আব্দুর রশিদ সরকার নামের একজন মেডিকেল অফিসারের ডিগ্রি ব্যবহার করে এই প্রতারণা করতেন তিনি। সম্প্রতি বেশ কিছু দিন ধরে এই ভুয়া চিকিৎসক আদমদীঘির আল সাফি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) এমন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত আদমদীঘিতে অভিযান পরিচালনা করে।
নির্বাহী হাকিম রুপম দাস বলেন, অভিযানে আব্দুর রশিদ ভুয়া সনদ ব্যবহার করে চিকিৎসা দেয়ার কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিই। এ ছাড়াও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
নির্বাহী হাকিম আরও বলেন, গ্রেফতার আব্দুর রশিদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে জরিমানার টাকা এখনও আদায় করা হয়নি। পরে পরিশোধ করবেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে এনএসআই কর্মকর্তা, র্যাব ও আদমদীঘি উপজেলা চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
ইবাংলা/এইচ/ ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২