শিগগির আরও কয়েকটি বন্ধ পাটকল চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। আগামী ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস উদযাপন নিয়ে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহে বিরাজমান পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান ও পাটখাত পুনরুজ্জীবিত করতে বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন ২৫টি জুট মিলে কর্মরত সব স্থায়ী শ্রমিকের গ্রাচ্যুইটি, পিএফ, ছুটি নগদায়নসহ গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার মাধ্যমে চাকরি অবসায়নপূর্বক উৎপাদন কার্যক্রম ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে শ্রমিকদের সমুদয় পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, অবসায়নের পর মিলগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে রেখে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় লিজ দেয়ার কার্যক্রম চলমান। ইতোমধ্যে দুটি পাটকলের (নরসিংদীর বাংলাদেশ জুটমিল এবং চট্টগ্রামের কেএফডি জুট মিলস) ভাড়াভিত্তিক ইজারা দেয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া আরও দুটি জুট মিলের লিজ প্রক্রিয়া চলমান। অবশিষ্ট ১৩টি মিল লিজ দেয়ার জন্য দ্বিতীয় বারের মতো ইওআই (এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট) আহ্বান করা হয়েছে।
আশা করা যাচ্ছে, দ্রুততম আরও কিছু মিল চালু করা সম্ভব হবে। পুনরায় চালু করা মিলে অবসায়ন শ্রমিকরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে এসব মিলে নতুন করে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের শ্রমিকরা দক্ষ। বেসরকারিভাবে যারা আসবে তারা প্রথমে দক্ষ শ্রমিক নেবে। তারপর নতুন শ্রমিক। যেকোনো জায়গায় দক্ষ শ্রমিকের খুব টানাটানি আছে। আমরা যে দুটি মিল দিয়েছি, সেখানে এরই মধ্যে দক্ষ শ্রমিকরা কাজে রয়েছে। আমরা সামনে কোনো শ্রমিক অসন্তোষ দেখছি না। নতুনভাবে কাজ শুরু হওয়ার পর কোনো শ্রমিক অসন্তোষ আমাদের নজরে আসেনি।সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইবাংলা/আরকে/ ৩ মার্চ, ২০২২