বরগুনা পৌর শহরের পশু হাসপাতাল সড়কে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর ও আবাসিক হোটেলসহ ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার (৭ মার্চ) রাত দশটার দিকে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনাটি ঘটেছে। এসময় ধমকল বাহিনীর সদস্যরা দীর্ঘ্য সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট।
আগুন সূত্রপাতের কারন এখনও জানা যায়নি। তবে বিদ্যুৎ তের শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত বলে ধারনা করা হচ্ছে। আগুন নিভাতে গিয়ে পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত দশটার দিকে বরগুনা পৌর শহরের পশু হাসপাতাল সড়কে একটি তুলার দোকান থেকে আগুন লাগে। এর ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে আশপাশে থাকা দোকানগুলোতে তা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ফায়ার সার্ভিসের বরগুনার একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে বেতাগী, আমতলী ও মির্জাগঞ্জ থেকে আরও পাঁচটি ইউনিট এসে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে বরগুনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নির্বাহী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে দশটার দিকে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রের চেষ্টা করি। তবে আগুনের তীব্রতার বেশী থাকায় পরে আমতলী, বেতাগী ও মির্জাগঞ্জ থেকে কয়েকটি ইউনিট আসে আগুন নিয়ন্ত্রন করেন। তবে এখানে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের চেষ্টায় এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটের কারণে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।
ঘটনাস্থলটি জেলা প্রসাশনের উর্ধতন কর্মকর্তারা ও পৌর মেয়র পরিদর্শন করেন।
ইবাংলা/ টিপি/ ৮ মার্চ ২০২২