হাদিসুরের লাশ না নিয়ে ফেরায় এলাকাবাসীর ক্ষোভ

জেলা প্রতিনিধি, বরগুনা

ইউক্রেন ও রাশিয়ায় যুদ্ধের সংঘাতে নিহত হন বাংলাদেশি ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে কর্মরত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান। ওই মৃত্যুতে সারাদেশে নেমে আসে শোকের ছায়া। তবে এখনো হাদিসুরের লাশ দেশে ফেরত না আনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।

Islami Bank

এদিকে নিহত হাদিসুরের লাশ বাংলাদেশে আসবে কিনা এ বিষয়ে ছিলো অনিশ্চয়তা। তবে হাদিসুরের বাড়িতে গিয়ে লাশ দু’একদিনে ফিরে পাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বড় সন্তান হাদিসুরকে হারিয়ে দিশেহারা মা-বাবা। লাশ ফিরে পাওয়ার আকুতি নিয়ে গত শনিবার ঢাকায় যান। ইচ্ছে ছিলো প্রধানমন্ত্রী ও রুশ রাষ্ট্রদূতের সাথে দেখা করবেন। দাবি জানাবেন ছেলের লাশ বাংলাদেশে নিয়ে আসার। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। যদিও প্রশাসন বলছেন ২-৩ দিনের মধ্যেই নিহত হাদিসুরের লাশ বাংলাদেশে পৌছাবে। কিন্তু এমন কথায় আর আশ্বস্ত হতে পারছেন না হাদিসুরের পরিবার।

নিহত হাদিসুরের ছোটভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স জানান, আমরা ঢাকায় যাই ভাইয়ের লাশ পাওয়ার আশায় এবং প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে। কিন্তু আমরা তাদের সাথে দেখা করতে পারিনি।

one pherma

হাদিসুরের মেজ ভাই তরিকুল ইসলাম জানান, আমাদের পরিবারের একমাত্র ভরসা ও উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন আমার বড়ভাই হাদিসুর রহমান। তাঁর মৃত্যুতে পরিবার এখন পথে বসে গেছে।

হাদিসুরের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সরকার সহায়তা না করলে আমার ছেলের লাশ দেশে আনা সম্ভব নয়। আমি সরকারের লাশের ছেলের লাশটা চাই।

মা আমেনা বেগম বলেন , গত বুধবার বিমানবন্দরে গিয়েছিলাম ২৮ নাবিকের সাথে হাদিসুরের লাশ ফিরে পাবো এই আশা নিয়ে। বাজানেরে পাইলাম না। বাজানের লাশটা দেইখা মরতে চাই।

এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: সুহৃদ সালেহীন বলেন, নিহত হাদিসুর রহমান আরিফের লাশ দেশে ফেরত আনতে যে আইনি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা আমি নিচ্ছি। আশা করা যায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে তার মরদেহ ফেরত আসবে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারলাম দুই-তিনের মধ্যে হাদিসের লাশ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে আশা করছি ।

Contact Us