আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে দেশের ব্যবসায়ীরা অন্যায়ভাবে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে ‘লজ্জাজনক’ কাজ করেছেন বলে মনে করে সংসদীয় কমিটি।
বুধবার (২৩ মার্চ) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ১৪তম বৈঠকে এ মন্তব্য করেন কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ। এতে অংশ নেন কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান এবং মুহিবুর রহমান মানিক।
আ স ম ফিরোজ বলেন, ব্যবসায়ীরা অন্যায়ভাবে তেলের দাম বাড়িয়ে দেশবাসীকে লজ্জায় ফেলেছেন। দেশবাসী এ লজ্জা থেকে পরিত্রাণ চায়। সরকার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়ে তেলের দাম কমিয়েছে। টিসিবির মাধ্যমে মানুষের কাছে পণ্য পৌঁছে দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার দোহাই দিয়ে মার্চের শুরু থেকে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।এতে বাজারে তেল সরবরাহে তীব্র সংকট দেখা দেয়। আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা মিল গেট থেকে তেল সরবরাহ করছেন না বলে অভিযোগ ওঠে। ওই সময় সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে লিটার প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এরপর সরকার হস্থক্ষেপ করে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম আট টাকা ও খোলা পাম-অয়েলের দাম লিটারপ্রতি তিন টাকা কমায়।
এদিকে চলতি মার্চ মাসের শুরু থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রডের দাম। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শুরু অর্থাৎ ১৫ মার্চ প্রতি টন রডের দাম বেড়ে ৯১ হাজারে ওঠে, যা গত মাসেও ছিল ৭৭ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে। উৎপাদনকারীরা দাম বাড়ার পেছনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করেন। তারা দাবি করেন, যুদ্ধের কারণে কাঁচামালের সংকট হওয়ায় রডের দাম বাড়ছে।
তবে খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতারা বলছেন, ওই যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই দাম বাড়ানো হচ্ছে। গত বছরের নভেম্বরে দেশের বাজারে রডের টন সর্বোচ্চ ৮১ হাজার টাকায় উঠেছিল, যা তখন ইতিহাসের রেকর্ড দাম ছিল।
এ বিষয়ে আ স ম ফিরোজ বলেন, হঠাৎ করে রডের দাম বেড়ে গেল কেন? এখানে কোনো সিন্ডিকেট কাজ করছে কি না, সেটা খুঁজে দেখতে সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটি ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে অভিযান পরিচালনার অনুরোধ জানিয়েছে।
ইবাংলা/ জেএন/ ২৩ মার্চ, ২০২২