পাটের আঁশ উন্নয়নে জনতার চুক্তি স্বাক্ষর
ইবাংলা ডেস্ক
বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল পাট চাষ ও পাটের আঁশ উন্নয়নে প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে জনতা জুট মিল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
বুধবার (২৩ মার্চ)জনতা জুট মিলস্ লিঃ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের মধ্যে একটি চুক্তি সাক্ষর হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি জনাব আকতারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপকবৃন্দ, আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বশির উদ্দিন ও আকিজ গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ সময় জনতা জুট মিল জানায়, পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসলগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং ভবিষ্যতেও পাটের এই সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে বলে জনতা জুট মিল বিশ্বাস করে
পাটের আবাদ এবং ফলন বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের মতামত হবে পাটকে বছরে একফসলি কৃষিপণ্য থেকে দুফসলি কৃষিপণ্যে রূপান্তর করা। বর্তমানে পাট এক ফসলি হওয়ার প্রধানতম কারণ হলো পানির প্রাপ্যতার উপর অন্যতম নির্ভরতা। পাট কাটার পর পাটের জাগ সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে পানির প্রাপ্যতা, পানির পরিমাণ এবং পানির গুণগত মানের উপর।
পাটজাগের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তনের প্রযুক্তিগত পদ্ধতি নির্ণয় নিয়ে জনতা জুট মিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগকে সাথে নিয়ে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজ শুরু করেছে।
পাট জাগের প্রযুক্তি নির্ভর নতুন উপায় বের করার পাশাপাশি, পাটের সুতা তৈরির ক্ষেত্রেও পাটের আঁশের কন্ডিশনিং-এ নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার নিয়ে কাজ হচ্ছে, যা পাটের সুতার উৎপাদন ও সুতার গুণগত মানে আমূল পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
লিগনিন পাটের আঁশ বা সেলোলুজকে একে অপরের সাথে বেধে রাখার কাজটির করে, যা পাটের জাগের সময়ে আংশিক রিমুভ হয়।সাধারণত, পাটে প্রায় ১২% এর মত লিগনিন থাকে, এর পরিমাণ যত কমানো যাবে পাটের আঁশের ব্যবহার ততই নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এবং নতুন ক্ষেত্রে পাটের আঁশের প্রবেশের পথ তৈরির সুযোগ হবে।
ইবাংলা /জেএন/২৩ মার্চ,২০২২