জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণের চাকা কোন দিকে যাচ্ছে। এমন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ।
২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থীদের আর্থিক সুবিধা, যাতায়াত সুবিধা, থাকা-খাওয়ার সুবিধাসহ সার্বিক ভোগান্তি হ্রাসের কথা ভেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেছিল।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণ ও সেকেন্ড টাইম শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হবে কিনা এমন প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মোঃ ইমদাদুল হক বলেছিলেন, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি যদি ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকেন্ড টাইম শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।
সোমবার (২৮ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির মহানায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. দিপু মনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় হয়রানি কমাতে আমরা গুচ্ছ পদ্ধতির কথা বলেছি।
একটা পদ্ধতি যখন চালু হয়, তখন কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকতেই পারে। আমি প্রথমবার চেষ্টা করছি সেখানে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি হয়তো রয়েছে৷ এসব ত্রুটিকে আমরা আগামীতে আশা করি দূর করতে পারবো। তাই গুচ্ছ পদ্ধতিকে আরও সংহত করতে হবে। এটা থেকে দূরে সরে যাওয়া উচিৎ হবে না। গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে না যাওয়ার অনুরোধ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট।
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ গুচ্ছে না যাওয়ার জন্য মতামত প্রকাশ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায়। সভায় অধিকাংশ শিক্ষকের গুচ্ছে না যাওয়ার কারণ ব্যক্ত করেছিলেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান বলেন, ভোগান্তি কমানোর জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতি চালু হলেও সেই ভোগান্তি কিছুটা রয়েই গেছে। সমন্বয়হীনতার কারণেই এই ভোগান্তি মনে হচ্ছে।
ভর্তির ক্ষেত্রে সমন্বয় থাকলে ভালো হতো। গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় ঢাকার বাহিরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রত্যাশা মাফিক শিক্ষার্থী পেলে ও আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তা পায় নি। এসব বিষয় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সমালোচনা ও মানের প্রশ্ন তুলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কারনে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কোভিড পরিস্থিতিতে নিয়মিত ভর্তি কার্যক্রম চালু রাখায় অনেক শিক্ষার্থী সে সেব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যায়। তাই সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কিছুটা অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছে। তবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণের না করে নিজস্ব ভর্তি ব্যবস্থাপনায় ফিরলে ভাল হবে বলে মনে করি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আলোচনা সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে ২য় বার গুচ্ছে অংশগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টা নিয়ে শীঘ্রই ইতিবাচক মতামত পোষন করবে।
ইবাংলা/ জেএন/ ২৮ মার্চ, ২০২২