গুচ্ছ পদ্ধতি ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে গেলে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন কাজে অংশগ্রহণ করবেনা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইবি শিক্ষকরা।
রোববার (০৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মিজানূর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ড. মিজানুর রহমান, সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবীর শুভ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক অনি আতিকুর রহমান, প্রেস-ক্লাবের সভাপতি সরকার মাসুম, সাধারণ সম্পাদক তারিক বিন নজরুলসহ কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, গত ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ইবি গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নেয়। এই পদ্ধতিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সুবিধার থেকে অসুবিধায় বেশী হয়। শিক্ষার্থী এবং অবিভাবকবৃন্দের ভর্তি নিয়ে মানসিক চাপের পাশাপাশি সময় এবং অর্থের অপচয় হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আর্থিক, শারিরীক ও মানসিক দূর্ভোগ লাঘবের জন্য গুচ্ছ পদ্ধতি প্রবর্তন করা হলেও পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে এর চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতা একটি মারাত্মক সমস্যা বলে ইতিমধ্যে প্রতীয়মান হয়েছে। সাত থেকে আটবার ভর্তির মেধাক্রম প্রকাশ করেও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ভর্তির কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও ভর্তির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তারা আরো বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতি ভর্তি যে উদ্দেশ্য পরীক্ষা চালু করা হয়েছে তা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ মনে করেন স্বায়ত্তশাসন অক্ষুন্ন রেখে স্ট্যাটিউট অনুসারে পৃথকভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করলে শিক্ষার্থী এবং অবিভাবকগণের আর্থিক সাশ্রয় এবং কষ্ট লাঘব হবে।
ইবাংলা/ টিএইচকে/ ৩ এপ্রিল, ২০২২