যে মাঠে গট ৯ বছরে একটি ম্যাচও জয় পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা, সেই মাঠে হারের বৃত্ত ভাঙল অবশেষে ডারবানের কিংসমেডে বাংলাদেশকে ২২০ রানে হারিয়ে অপবাদ ঘুচালো প্রোটিয়ারা।
চতুর্থ দিনে ২৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১১ রান নিয়ে দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাক ফুটে চলে যাওয়া বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল ঠিকই। কিন্তু অভিজ্ঞদের ব্যর্থতার মিছিলে তরুণরা যোগ দিলে মাত্র ৫৩ রান অল-আউট হয়ে যায় সফরকারীরা।
বাংলাদেশের দশ উইকেট নিতে দক্ষিণ আফ্রিকার লেগেছে মাত্র ১৯ ওভার। এই কটা ওভার করেছেন দুজন বোলার কেশব মহারাজ ও সাইমন হার্মার।ম্যাচ শেষে হতাশ টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক জানিয়েছেন, আগের দিন ৩ উইকেট হারালেও চতুর্থ দিনের শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে চেয়েছিলেন।বলের মেধাগুণ বিচার করে খেলতে চেষ্টা করছি। আমরা শেষ সেশন পর্যন্ত ব্যাট করতে চেয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত গতকাল আমরা ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলি, যা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
ডারবান টেস্টে মাত্র এক স্পিনার নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। পেস নির্ভর দল গড়ে প্রতিপক্ষের স্পিনে কাবু হতে হয়েছে। কেশব শেষ ইনিংসে মহারাজ একাই তুলে নেন ৭ উইকেট। তবে মহারাজকে না খেলতে পারার হতাশায় পুড়ছেন টাইগার অধিনায়ক।
‘আমরা স্পিনের বিপক্ষে খেলে অভ্যস্ত। আমরা এটিও জানতাম যে ডারবানে তৃতীয়-চতুর্থ দিনের পর স্পিন ধরে। আমরা ব্যাট হাতে নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে পারিনি। আমরা অনেক বাজে শট খেলেছি। প্রথম ইনিংসে ভালোই ছিল।’
‘দুই ইনিংসেই বোলাররা ভালো বোলিং করেছি। গত কয়েক ম্যাচ ধরেই আমাদের পেস ডিপার্টমেন্ট দারুণ করছে। নিউজিল্যান্ডেও তারা অসাধারণ ছিল, এখানেও ওয়ানডে সিরিজেও।তবে প্রথম ম্যাচের হতাশা কাটিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে চান মুমিনুল। আগামী ৭ এপ্রিল পোর্ট এলিজাবেথে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
‘আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০-৬০ রান বেশি দিয়ে ফেলেছি। আমাদের হাতে আরেকটি ম্যাচ আছে। আমাদের এখান থেকে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমাদের সামনে আসা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে। নতুন ছেলেদের নিজেদের প্রতিভা দেখানোর ভালো একটি সুযোগ এটি।
ইবাংলা/ জেএন/ ৪এপ্রিল,২০২২