কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এ বছর দেশে সারের ভর্তুকিতে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। ইতোমধ্যে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, এতো বড় অংকের অর্থ ভর্তুকি দেয়া সারা বিশ্বের বিরল ঘটনা।
মঙ্গলবার ১২(এপ্রিল) সচিবালয়ে সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।এসময় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী, জোয়াহেরুল ইসলাম, কৃষিসচিব সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলাইকৃষ্ণ হাজরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কানাডার মতো উন্নত দেশ যারা খাদ্য রপ্তানি করে সেখানে মানুষ লাইনে ধরে রুটির প্যাকেট কিনছে বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একজনকে ২ প্যাকেটের বেশি রুটি ও ৫ লিটারের বেশি ভোজ্যতেল দিচ্ছে না। পরিবারের সবাই ছেলে-মেয়ে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে রুটি-তেল কিনছে। এ অবস্থায় দেশে কৃষির উৎপাদন ও ফলন অব্যাহত রাখতে হবে।
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, বছরে সারে ৩০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া সারা বিশ্বের বিরল ঘটনা। পৃথিবীর কোন দেশে এতো ভর্তুকি দেয়ার উদাহরণ নেই। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সারের দাম তিনগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেলেও বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষক পর্যায়ে সারের মূল্য বৃদ্ধি করে নি।
মন্ত্রী বলেন, সারের জন্য বিএনপি সরকার ১৯৯৫ সালে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছিল। বিপরীতে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সারের উৎপাদন ও আমদানি অব্যাহত রেখেছে। গত ১৩ বছরে সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের কোন সংকট হয়নি।
এর আগে সভায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মোট রাসায়নিক সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয় প্রায় ৬৭ লাখ টন। এর মধ্যে ইউরিয়া ২৬ লাখ টন, টিএসপি ৭ লাখ টন, ডিএপি ১৫ লাখ টন, এমওপি সাড়ে ৭ লাখ টন, জিপসাম সাড়ে ৫ লাখ টন, জিংক সালফেট ১ লাখ ৪১ হাজার টন এবং বাকীগুলো জিপসাম ও বোরন প্রভৃতি।
ইবাংলা /জেএন /১২এপ্রিল ,২০২২