বরগুনায় ডাকাতি ও লুটের অভিযোগে এক ছাত্রলীগ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এছাড়া তার বাবাকেও একই অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর কামাল হোসেন। তিনি বলেন, বুধবার ( ১৩ এপ্রিল) সকালে আসামীদের কোর্টে হাজির করলে আদালতের বিচারক মাহাবুবুর রহমান তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
এ ছাত্রলীগ নেতা বরগুনা সদরের ফুলঝুরি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান দুরন্তু। তিনি সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের ছোট গৌরীচন্না গ্রামের জাহাঙ্গীর ঘরামীর ছেলে। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর ঘরামীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত মাসের ১৯ মার্চ রাতে স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয়দের নিয়ে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে ফেরার সময় এক ব্যবসায়ীর প্রাইভেটকারে লুট চালায় সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান দুরন্ত ও তার সহযোগীরা। এসময় তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে এবং তাদের সাথে থাকা ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও স্বর্নালঙ্কার লুট করে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের গুরতর অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় কর্তব্যরত চিকিৎসক।
একইদিন ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান দুরন্ত, তার বাবা জাহাঙ্গীর ঘরামীসহ আট জনের নামে বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ীর পরিবার। এরপর থেকে মেহেদী ও তার বাবা পলাতক ছিলেন।
এরপর বুধবার রাত ২ টার দিকে বেতাগী উপজেলার মন্নানের হাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী ও বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সকালে তাদেরকে বরগুনার আদালতে পাঠায় তারা।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহম্মদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল মেহেদী ও তার বাবা। ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেতাগীর মন্নানের হাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ইবাংলা/ টিএইচকে/ ১৩ এপ্রিল, ২০২২