মুদ্রা ঘাটতির কারণে শ্রীলঙ্কা পণ্য আমদানি হচ্ছে না

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে শ্রীলঙ্কা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারছে না। দেশটিতে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। সরকারের পদত্যাগের দাবিতেও টানা বিক্ষোভ চলছে। এবার নেপালের অর্থনীতিকেও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।

নেপাল মূলত খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি ও জরুরি পণ্যের চাহিদা পূরণে আমদানিনির্ভর। কিন্তু দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিন দিন কমছেই। ইতোমধ্যে অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটি। একইসঙ্গে আমদানি কমিয়ে রিজার্ভ বাড়াতে ব্যাংকে সুদহারও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয়, সম্প্রতি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে দেশটির অর্থনীতির অবস্থা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এখনই তুলনা করতে রাজি নন দেশটির সরকার। কিন্তু নেপালের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেপালের অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়াত্বের পথে এগিয়ে যেতে পারে নেপালও।

২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকেই নেপালের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং পর্যটন ও রফতানি আয় ধীরে ধীরে কমে আসছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নেপালের মোট বৈদেশিক মুদ্রার সংগ্রহ ১৭ শতাংশ কমে গেছে। এ ছাড়া নেপালের হাতে বর্তমানে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আছে, তা দিয়ে বিদেশি পণ্য ও সেবা কেনা যাবে ছয়-সাত মাস, যা দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত সাত মাসের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম।

নেপালের সাবেক তিনজন অর্থমন্ত্রী বলছেন, এখনই সঠিক পদক্ষেপ না নিলে নেপালের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।

তবে নেপালের বর্তমান অর্থমন্ত্রীর দাবি, হিমালয়ের দেশটি শ্রীলঙ্কার পথে হাঁটছে না। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করে বরং দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের দিকে নজর দেয়াই ভালো।

এ ছাড়া বেশি পরিমাণে আমদানি নির্ভর হয়ে যাওয়াই কারণেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপে পড়েছে বলে জানান নেপালের অর্থমন্ত্রী। তাই আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশেই পণ্য উৎপাদনের প্রতি জোর দিতে বললেন তিনি। সূত্র : বিবিসি, রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড

ইবাংলা/ জেএন / ১৮ এপ্রিল, ২০২২

Contact Us