তীব্র তাপদাহে ঝরছে আমের গুটি, ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা

ডেস্ক রিপোর্ট

রাজশাহীতে অব্যাহত তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। পাশাপাশি বিপন্ন হয়ে উঠেছে প্রকৃতি। একটু বৃষ্টির জন্য চারিদিকে হাহাকার পড়ে গেছে এই অঞ্চল জুড়ে ।

এদিকে আমের রাজধানীখ্যাত রাজশাহীতে মাঝারি ও তীব্র তাপদাহে ঝড়ে পড়ছে আমের গুটি। এ অবস্থায় ফলন বিপর্যয়ের পাশাপাশি আমের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আম চাষিরা। তবে হতাশ না হয়ে আমগাছের গোড়ায় পানি সেচ, নিয়মিত পরিচর্যা কিন্তু তাতেও তেমন কাজ হচ্ছে না বালাইনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন ফল গবেষকরা।এটা চলতে থাকলে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা বাগান মালিকদের

জানা গেছে, চলতি আম মৌসুমের শুরুতে দুদফা বৃষ্টির কারণে এবং মুকুল আসার পর মেঘলা আবহাওয়ায় গাছে মুকুল অনেকটা নষ্ট হয়। আর এ বছর ৬৫-৭০ ভাগ ফলনের আশা নিয়ে বুক বেঁধেছিলো রাজশাহী আম চাষিরা। কিন্তু কিছুদিন ধরে প্রচন্ড তাপদাহ অব্যাহত থাকায় ও বৃষ্টি না হওয়ায় ঝরে পড়ছে আমের গুটি।

যদিও কেউ কেউ রাতদিন সেচ ও স্প্রে করে চেষ্টা করছেন আমগুলোকে বাঁচানোর। কিন্তু অধিকাংশ চাষিই পূঁজি এবং পানির অভাবে সেচ দিতে পারছেন না। বৃষ্টির অপেক্ষায় তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে।

অন্যদিকে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক কামাল উদ্দিন জানান, মার্চের মধ্যভাগ থেকে এপ্রিলের মধ্যভাগ পর্যন্ত একই মাত্রায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে রাজশাহীর ওপর দিয়ে। এখন রাজশাহীর গড় তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। সর্বশেষে গত ১৫ এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রা খুব একটা কামার সম্ভাবনা নেই।

রাজশাহীর পবা উপজেলার বাগসারা এলাকার স্থানীয় আম ব্যবসায়ী মেহেদি হাসান জানান, টানা তাপদাহ চলছে। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ফলন বিপর্যয় ঘটবে।

ফরহাদ শেখ ডলার নামের আরেক আম চাষি বলেন, প্রচন্ড তাপদাহে এবং বৃষ্টির অভাবে প্রতিটি আমবাগানে বিপুল পরিমাণ আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। এখন আমাদের করার কিছুই নেই যতক্ষণ বৃষ্টি না হচ্ছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন জানান, এ সময় গুটি ঝরা স্বাভাবিক ঘটনা। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু নেই। শুধু তাপদাহের কারণে নয়, আমের গুটি অনেক সময় ঝরে পড়ে বা পুষ্টির অভাব, পোকার আক্রমণ, রোগের আক্রমণ ও ধারণক্ষমতার বেশি আমের গুটি আসলে ঝরার সম্ভাবনা থাকে।

ইবাংলা/ জেএন / ১৮ এপ্রিল, ২০২২

Contact Us