বান্দরবানে দুর্গম থানচি ও রুমা প্রথম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশনটি শুভ উদ্বোধন করা হবে রোববার। রোববার (২৪ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শুভ উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন বান্দরবান গণপুর্ত বিভাগের উপ-প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান।
দুর্গম পাহাড়ে থানচি ও রুমা উপজেলার বাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশীত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস এর কার্যক্রম চালু হতে যাচ্ছে। এতে করে এলাকার সর্বোস্তরের মানুষের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। সারা দেশে ৪০ টি ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন ও বান্দরবানে রুমা ও থানচি উপজেলা দুইটি উদ্ভোধনের আওতায় আনা হয়েছে।
জানাযায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের (তৎকালীণ) প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এ দুই উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বান্দরবান গণপুর্ত বিভাগের প্রায় ৬কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ের দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছর সময়ের মধ্যে নির্মান কাজ সমাপ্তি ঘটে।
থানচি হেডম্যান পাড়া বাসিন্দা হ্লামংউ মারমা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাহাড়ের বসবাসরত জনগোষ্ঠিদের ভালবাসা ও আন্তরিকর্তা আছে বলে দুর্গম থানচির মত উপজেলা অভ্যন্তরীন ও জেলা শহর থেকে উপজেলা সদর পর্যন্ত রাস্তা ঘাট, শিক্ষা ব্যবস্থা,চিকিৎসা ব্যবস্থা,বাস স্থানের অবকাঠামোসহ পাহাড়ে এত উন্নয়ন দৃশ্যমান দেখা গেচ্ছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
সংশ্রিষ্ঠরা জানান, গতি, সেবা, ত্যাগ এ শ্লেগানের চলতি বছরের ফের্রুয়ারী মাসের ৩ তারিখ থেকে সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের মৌখিক অনুমতি নিয়ে যাত্রা শুরু করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস। আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধনের আগেই বিভিন্ন জনবান্ধব কার্যক্রম পরিচালনা করে থানচি উপজেলা বাসীর আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশনের কর্মকর্তারা।
ষ্টেশনের সাব অফিসার মোহাম্মদ ইসমাইল মিয়া জানান, ২ টি গাড়ি, ৭ জন ফায়ার ফাইটারস, ৩ জন ড্রাইভার ও ১ জন সাব স্টেশন কর্মকর্তা নিয়ে ২৪ ঘন্টা সেবা প্রদানে পুরোপুরি প্রস্তুত এই প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে দীর্ঘদিন পর হলেও ফায়ার স্টেশন পেয়ে খুশি থানচি উপজেলা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বিশেষ করে থানচি বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যেন আনন্দের জোয়ার বইছে।
থানচি বাজারের ব্যবসায়ী লিটন চৌধুরী বলেন, এই পর্যন্ত ৩বার ভয়াবহ আগুনে সবকিছু হারিয়ে আমি আজ প্রায় নিঃস্ব। তিনি আরো বলেন থানচি বাজারের কয়েকজন দোকানদার আগুনে দোকান পুড়ে যাওয়ার কারণে দেউলিয়া হয়ে গেছে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম শুরু হওয়াতে মারাত্মক ভাবে খুশি হয়েছি জানিয়ে তিনি জানান,বিগত দিনে ৩ বারের যে আগুনের সুত্রপাত ফায়ারসার্ভিস থাকলে একটির বেশি দোকান ও ক্ষতিগ্রস্ত হবার কোনো সম্ভাবনা ই ছিলোনা।
থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীতে এ অঞ্চলে কোন সড়ক পথ ছিল না ২০১২ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থানচি উপজেলা প্রথম পা রেখেছেন এবং চোখে দেখেছেন সুতারাং প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি গোচর হওয়া আজকের সিভিল ডিফেন্স ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,
চিকিৎসা ব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বাসস্থানের ব্যবস্থা,খাদ্য বান্ধব ব্যবস্থাসহ থানচিকে একটি মডেল উপজেলা পরিনত করার সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে সে লক্ষ্যে পরিকল্পিত উন্নয়নের এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন সারাদেশে ৪০ টি মধ্যে বান্দরবান জেলা রুমা ও থানচি দুইটি ষ্টেশন রোববার শুভ উদ্বোধন করবেন।
ইবাংলা/ টিএইচকে/ ২৩ এপ্রিল, ২০২২