ঈদের সময় ট্রেনের টিকিট যেন সোনার হরিণ। আর সেই সোনার হরিণকে পেতে শনিবার (২৩ এপ্রিল) থেকেই রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে মানুষের ঢল নামে। টিকেট পেতে ইফতারের পর অনেকেই স্টেশনেই সাহরি করেছেন।
ঈদযাত্রায় সড়কপথের ভোগান্তি থেকে বাঁচতে অনেকেই রেলপথ বেছে নেন। তবে ঈদের আগে ট্রেনের টিকিট পাওয়া অনেকটা পেতেই গভীর রাতে স্টেশনে এসে টিকিট কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। কেউ এসেছেন গভীর রাতে, কেউবা সেহরির পর এসে যুক্ত হয়েছেন। সময় যতো গড়াচ্ছে টিকিটপ্রত্যাশীদের লাইন ততই দীর্ঘ হচ্ছে ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিন (শনিবার) যে পরিমাণ ভিড় ছিল আজ রোববার (২৪ এপ্রিল) তার চেয়ে দ্বিগুণ রয়েছে। টিকিটের জন্য হাজার হাজার মানুষকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি করে টিকিট কিনতে পারবেন। তাদের মধ্যে অনেকেই চাহিদা অনুযায়ীও টিকিট পাচ্ছেন না।
এদিকে টিকিটের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে যাত্রীরা আরও বলেন, অনেকেই লাইন মানছে না। পুলিশও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। সব মিলিয়ে খুবই বাজে একটা অবস্থা এখানে।তারপরেও টিকেট প্রত্যাশীরা জানান, ঈদে বাড়ি যেতে ট্রেনের টিকেটের মত সোনার হরিণ পেতে শত কষ্টও মেনে নিতে প্রস্তুত তারা।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, এবারই প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। তাই টিকিট দিতে কিছুটা ধীরগতি হচ্ছে। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি যাত্রীরা যেন টিকিটগুলো পান।
ইবাংলা /জেএন /২৪ এপ্রিল,২০২২