আফগান নারীদের ওপর বিধিনিষেধ নিয়ে জাতিসংঘের বৈঠক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জনসম্মুখে বের হতে হলে নারীদের বোরকা পরার পর অবশ্যই মুখ ঢেকে রাখতে হবে। সম্প্রতি এমন আদেশ দিয়েছেন আফগানিস্তানের তালেবান সরকার।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১০ মে) আলোচনায় বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। একই সঙ্গে ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর অতীতের কট্টরপন্থী শাসনের স্বাক্ষর নীতিতে প্রত্যাবর্তন এবং নারীদের প্রতি অন্যান্য বিধিনিষেধ বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা করবেন তারা। খবর রয়টার্সের।

আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত, ডেবোরা লিয়ন্স বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নরওয়ের জাতিসংঘ মিশন অনুরোধ করেছে নারীদের মানবাধিকার এবং স্বাধীনতার ওপর বর্ধিত বিধিনিষেধ নিয়ে বৈঠক করার জন্য।

যদিও কাবুল ছাড়া আফগানিস্তানের বেশির ভাগ নারী ধর্মীয় কারণে মুখ ঢেকেই বের হোন। তবুও গত শনিবার (৭ মে) গ্রুপের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা বলেছেন, যদি কোনো নারী ঘরের বাহিরে মুখ না ঢেকে বের হোন। তাহলে তার বাবা বা নিকটতম পুরুষ আত্মীয়কে সম্ভাব্য জেল বা রাষ্ট্রীয় চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পূর্বের তালেবানদের শাসনকালে। সে সময় নারীদের মুখ ঢেকে বের হতে হতো। তারা কাজে বের হতে পারতো না। এমনকি মেয়েদের স্কুলে যাওয়া ও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু আগস্টে ক্ষমতা দখলের পর নারীদের অধিকারকে সম্মান করার অঙ্গীকার করেছিল নতুন তালেবান সরকার। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নারীদের সঠিক অধিকার প্রদান করবে।

কিন্তু তালেবান তাদের দেওয়া মার্চের ঘোষণা থেকে পেছনে ফিরে আসে। যদিও তখন তারা বলেছিল মেয়েদের জন্য উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা হবে। কিন্তু ইসলামি আইন অনুসারে নতুন পরিকল্পনা না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।

ইবাংলা /জেএন /১১ মে,২০২২

Contact Us