বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত

দেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা নানা আয়োজনে তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা পালন করছেন যথাযথ মর্যাদায়।

Islami Bank

‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’ এই অহিংস বাণীর প্রচারক গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব, বোধিপ্রাপ্তি আর মহাপ্রয়াণ-এই তিন স্মৃতি বিজড়িত দিনটিকে বুদ্ধ পূর্ণিমা হিসাবে পালন করেন বুদ্ধ ভক্তরা।

বৌদ্ধধর্ম মতে, আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। সারা দেশে শান্তি, শোভাযাত্রা ও বৌদ্ধ মঠ ও মন্দিরগুলোতে দিনব্যাপী প্রদীপ প্রজ্বালন, পূজা ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া রাজধানীসহ দেশজুড়ে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বুদ্ধ পূজা, প্রদীপ প্রজ্বালন, শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনা সভা, প্রভাত ফেরি, সমবেত প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মানব জাতির শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

গত দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে এ দিনটি উৎসবের মধ্যদিয়ে উদযাপন করতে পারেননি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা। তবে এবার করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসায় দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা সাড়ম্বরে উদযাপন করবে।

one pherma

দিবসটি উপলক্ষে দেশজুড়ে বিভিন্ন বৌদ্ধবিহারে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাজধানীর বাসাবো ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারেও বুদ্ধপূজা ও শীলগ্রহণ, পিণ্ডদান, ভিক্ষু সংঘের প্রাতরাশসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে দিনটি পালন করা হবে।

বৈশাখের পূর্ণিমা তিথিতে এ পূণ্যোৎসবে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা স্নান করেন, শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকেন। অর্চনার পাশাপাশি তারা পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা করেন।

এদিকে, দিবসটি উলপক্ষে রোববার (১৫ মে) সরকারি ছুটির দিন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

ইবাংলা/টিএইচকে/১৫ মে,২০২২

Contact Us