গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা শুরুর আগেই ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ ছেড়েছেন

ডেস্ক রিপোর্ট

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবার ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ ছেড়েছেন। তবে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন বলে জানান তিনি। ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে এ জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো হয়নি। তার আগেই ডা. জাফরুল্লাহর ছেড়ে যাওয়ার ঘটনা হতাশ করেছে সরকার বিরোধী শিবিরকে।

জাফরুল্লাহ আগামীতে এই মঞ্চের কোনো বৈঠকেও দেখা যাবে না। মুখপাত্র হিসেবে থাকবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আ স ম আবদুর রবের জেএসডিসহ সাতটি রাজনৈতিক দল মিলে এ নতুন জোট হচ্ছে। ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে এ জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা চলতি মাসেই হওয়ার কথা রয়েছে। আপাতত সাতটি দল থাকলেও ভবিষ্যতে পরিধি আরও বাড়ানো হবে বলে পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

এ নিয়ে কয়েকদিন আগে বৈঠক হয় রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সেখানে সাত দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা নতুন জোটের নাম নির্ধারণ, কাঠামো, কর্মসূচি প্রণয়ন, অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সংযুক্তিসহ নানা কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। ২৩ মে পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

জেএসডি ছাড়াও সাত দলে রয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলন।এই মঞ্চের শরিক ভাসানী অনুসারী পরিষদ সংগঠনের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি না থাকলেও এই পরিষদের দুই জন সদস্য গণতন্ত্র মঞ্চের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

তার নিজের কোনো রাজনৈতিক দল নেই। তিনি নিজে রাজনীতিও করেনও না মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি নির্বাচনকালীন সরকার বা জাতীয় সরকার নিয়ে যেসব প্রস্তাব দিয়েছি, দেশের একজন নাগরিক হিসেবেই দিয়েছি। এর সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের দাবির মিল নাও থাকতে পারে বা তারা একমত নাও হতে পারে। এটা তাদের ব্যাপার। গণতন্ত্র মঞ্চের আগের বৈঠকগুলোতে তারা চেয়েছিল বলে আমি ছিলাম।

তবে মঞ্চের উদ্যোক্তারা জানান, গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত থাকতে না চাওয়া এবং বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনকালীন সরকার ও জাতীয় সরকারের রূপরেখা নিয়ে তার দেওয়া প্রস্তাবের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের দাবির মিল না থাকায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে মঞ্চের সাংগঠনিক দায়িত্বে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে শনিবার (১৪ মে) ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে দীর্ঘসময় আলোচনা হয়েছে জোনায়েদ সাকির।

এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল নিয়ে যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তার সঙ্গেও গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দলের কিছুটা দ্বিমত রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে মঞ্চের অন্যতম নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শুধু তিনি কেন, তার সংগঠন থাকতে পারবে কি না, সেই বিষয়েও আমরা সিদ্ধান্ত নেব। কারণ, যখন যা ইচ্ছা তা চাইলেই বলা যায় না বলে মন্তব্য করেন ডাকসুর সাবেক এই ভিপি।

ইবাংলা/ জেএন / ১৫ মে, ২০২২

Contact Us