জোয়ার ভাটার জেলা বরগুনা। বঙ্গোপসাগরের কোলঘেষে গড়ে ওঠা এ জেলার মানুষের দূর্ভোগ ও দুর্দশার এখন প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে গেছেন। আমাবর্ষার জোয়ারের প্রভাবে বরগুনার দুটি স্থানের ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ফলে দুই পারে পাঁচ শতাধিক বাস ও ট্রাক আটকে দুর্ভোগের চরম সৃষ্টি হয়েছে।এছাড়াও বড়ই তলা-বাইনচটকি, পুরাকাটা-আমতলীতে ট্রলার চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও মটর সাইকেল ও যাত্রী পারাপার হতে পানিতে ভিজে যেতে হচ্ছে। সোমবার সকাল ১০ টায় পুরাকাটা ফেরিঘাট গেলে এমন চিত্র দেখা যায়।
পূর্ণিমার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বরগুনার প্রধান তিনটি নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে নদী-তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তির বাসিন্দারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরগুনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণিমার প্রভাবে বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বরের মোহনায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৬৫ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনা সদর উপজেলার অংশে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
গত রাতের স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বিষখালী ও পায়রা নদীতে বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।বড়ইতলা এলাকার তরিকুল ইসলাম রতন জানান, জোয়ারের পানিতে এখানকার বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। এখন প্রতিদিনই সকাল-বিকেল দুইবার করে পানিতে ঘর তলিয়ে যাবে।
সামিউল আলিম নামের এক ট্রলার যাত্রী বলেন, সব সময়ই দেখি জোয়ারের পানি বাড়লে বরইতলা ফেরিঘাটের পন্টুনের গ্যাংওয়ে পানিতে তলিয়ে থাকে। এই জায়গা দিয়ে যাতায়াত করলে দুর্ভোগের কোনো শেষ থাকে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের এই দুর্ভোগ থেকে যেন আল্লাহ তায়ালা রক্ষা করেন।
এ বিষয়ে বরগুনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ গিয়াস উদ্দীন বলেন,এখানকার জোয়ারের পানির উচ্চতা অধিকতর,যে কারনে ফেরির গ্যাংওয়ে উপরে জাগিয়ে দিলে ভাটার সময়ে আবার গাড়ি পারাপারে দুর্ভোগ বাড়বে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুরাকাটাও বড়ইতলা ফেরিঘাট সংস্কারের জন্য কাজ শুরু করতে পারবো।
ইবাংলা / জেএন / ১৬ মে, ২০২২