খুলনায় পিবিআই পরিদর্শক মঞ্জুরুল আহসান মাসুদের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এঘটনায় খুলনা মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। এর পর থেকেই অভিযুক্ত পিবিআই পরিদর্শক পলাতক রয়েছেন।
সোমবার (১৬ মে) সকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পিবিআই পরিদর্শক পলাতক। বিকেলে ভুক্তভোগীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আদালত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী ওই মেয়েটির বাড়ি খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ছবি সংক্রান্ত একটি সমস্যা নিয়ে ৫ দিন আগে পিবিআই ইন্সপেক্টর মাসুদের শরণাপন্ন হয় ওই শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে এ ব্যাপারে কয়েকদিন ধরে যোগাযোগ চলছিল।
সোমবার (১৬ মে) সকালে পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ ওই কলেজছাত্রীকে খুলনা নগরীর ছোট মির্জাপুর রোডের কাগজী হাউজের একটি অফিসে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন মাসুদ।
এ ঘটনার পর ধর্ষণের শিকার মেয়েটি খুলনা সদর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। পরে ওই মেয়েটিকে নিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (সাউথ) সোনালী সেন, সহকারী কমিশনার (খুলনা জোন) ইয়াজিদ ইবনে আকবর ও খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
এ সময় অফিসটি তালাবদ্ধ থাকায় পুলিশ কর্মকর্তারা তালা ভেঙে অফিসের কক্ষে প্রবেশ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধর্ষণের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ইবাংলা/টিএইচকে/১৭ মে, ২০২২