কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি, আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নদীগুলো এখন উথলে পরা যৌবনে। সুরমা ও কুশিয়ারায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। এ দুই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি রয়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
এদিকে গতরাতে সিলেটে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেছে। সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় ঢলের প্রভাবও বেড়েছে। যার ফলে সুরমা, কুশিয়ারা, সারিসহ বিভিন্ন নদ নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা কবলিত এলাকাসমূহের বাসিন্দাদের অবর্ননীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে। অধিকংশ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে। মাছিমপুর এলাকার উঠতি যুবকরা নিজেদের উদ্যোগে অসহায় মানুষদের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ করতে দেখা গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিলেট নগরীর বরইকান্দি, ভার্থখলা, কদমতলীসহ কয়েকটি এলাকার মানুষের রাতের ঘুম হচ্ছেনা।
ভার্থখলার বাবুল চৌধুরী বলেন, সুরমা নদী থেকে এ সকল এলাকা নিচু থাকায় কখন যে নদী উপচে পানি ঢুকে পড়ে এই ভয়ই তাদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। নগরীর জলাবদ্ধতার কারণ হচ্ছে ড্রেনেজ সমস্যা। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতিতে নগরীর দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে। কিছুক্ষণ পরপর কতটুকু পানিবৃদ্ধি হলো তা দেখে আসছেন এলাকাবাসী।
ইবাংলা / জেএন / ১৯ মে, ২০২২