রাজধানীর গুলশান থেকে অভিনব কায়দায় গাজার নির্যাস দিয়ে তৈরি কেক, চকলেট ও মিল্কশেক ও এসব সামগ্রী তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে গুলশান থানা পুলিশ।
গত ২৯শে মে বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি পাঠাও মোটরসাইকেল আটক করে আরোহনকারী যাত্রীর নিকট থেকে অভিনব মাদকদ্রব্য ও গাঁজা উদ্ধার সহ মোটরসাইকেল আরোহী জুবায়ের হোসেন(২৪) কে আটক করা হয়।
গুলশান থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যগুলো সে গুলশানের ৬ নং রোডের ১০ নাম্বার বাসায় ডেলিভারী দিতে যাচ্ছে।
আটককৃত জুবায়ের হোসেন পুলিশকে জানায়, সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে এসকল অভিনব মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে।
পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যমতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার ১২ নং সেক্টরের ১৪ নং রোডস্থ ৮ নাম্বার বাসার ৬ষ্ঠ তলার-বি-৫ ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে গাঁজা দিয়ে তৈরি মিল্কশেক, গাঁজার নির্যাস দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের চকলেট, কেক ০১ কেজি গাঁজা, ফুয়েল পেপার, স্টিকার রোল, বেনানা ফ্লেবার, বিভিন্ন ধরনের চকলেট বানানোর ডায়েস, এসব তৈরির বিভিন্ন উপাদান, ১০৭ টি ফোন ও ল্যাপটপ উদ্ধার সহ আরও দুই (২) জন মাদক ব্যবসায়ীকে উত্তরা পশ্চিম থানার সহযোগীতায় আটক করে গুলশান থানা পুলিশ।
আটকৃতরা হলেন, জুবায়ের হোসাইন (২৪) ও অনুভব খান রিবু (২৩), নাফিসা নাজা (২২)।
ডিএমপির গুলশান জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান আটককৃত আসামীদের নিকট থেকে উদ্ধারকৃত গাঁজার নির্জাস দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য ও গাজা সহ মোট ৭ কেজি মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীরা অন-লাইনে ইনষ্টোগ্রামের মাধ্যমে কানাডিয়ান ও আফ্রিকান মাদক ব্যবসায়ীদের তৈরি বিভিন্ন ইউটিউভ ভিডিও দেখে দেশীয় পদ্ধতিতে গাঁজা দিয়ে কেক, চকলেট, মিল্কসেক তৈরি করত। তারা ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমেই সেগুলো রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিক্রি করে আসছিলো।
তারা ৫ কেজি গাজার নির্যাস দিয়ে ১ কেজি চকলেট তৈরি করত। গুলশান থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।
সাংবাদিক দের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন প্রাথমিক ভাবে তারা কোন পথে গাঁজা সংগ্রহ করে এবং বিক্রি করে এসব তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি, আমরা আসামীদের আদালতে প্রেরন করে রিমান্ডের আবেদন করব। বিজ্ঞ আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে পরবর্তীতে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত তথ্য উৎঘাটন করা সম্ভব হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ইবাংলা/টিএইচকে/৩০মে,২০২২