জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে কর্মসূচি চলছে। মঙ্গলবার ( ৭জুন) প্রশাসনিক ভবনের রেজিস্ট্রার অফিস ও উপাচার্য দপ্তরের সামনে অংশগ্রহণ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী, সহায়ক কর্মচারী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা।
সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরে দৈনিক মঞ্জুরি ও চুক্তি ভিত্তিক কর্মচারীরা বিগত ১৩ বছর থেকে কর্মরত রয়েছেন। যেখানে চতুর্থ পদের কর্মচারী ২০৫ জন, তৃতীয় শ্রেণীর সহায়ক কর্মচারী ২৭৫ জন ও পরিবহন পুলের চুক্তি ভিত্তিক রয়েছেন ৪৩ জন। যার মধ্যে পরিবহন পুলের গাড়ি চালক চুক্তিতে ২৬ জন, সহকারী মেকানিকাল হেলপার ২ জন ও বাস হেলপারের মধ্যে রয়েছেন ১৫ জন।
আন্দোলনরত কর্মচারীরা জানান, বিগত ১৩ বছর যাবত আমরা বিভিন্ন দপ্তরের কাজে কর্মরত রয়েছি। আমরা অস্থায়ীভাবে কাজ করতেছি। এ বিষয়ে বারবার প্রশাসনের কাছে আসলেও তারা কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কাজ অস্থায়ী কর্মচারীদের মাধ্যমে সম্পন্ন কতটা যুক্তিগত। আজ আমাদের একটাই দাবি দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত কর্মচারীদের স্থায়ী চাকরির আওতাভুক্ত করতে হবে।
এ বিষয়ে কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিভিন্ন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা কর্মরত রয়েছে। কেউ কেউ ১৩ বছর থেকে কর্মরত রয়েছে কিন্তু কোন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণ হচ্ছে না। বারবার প্রশাসনের নিকট আসলেও কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্ৰহন করেনি। এজন্য আমরা উপাচার্য মহোদয়ের নিকট আমাদের দাবি তুলে ধরতে ও সমাধান নিতে এসেছি।
কর্মরত চুক্তিভিত্তিক এক গাড়ি চালক জানান, বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক কর্মী রাখা হয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডহক বা স্থায়ী করার অনেক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়। ঢাকার মধ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো নিয়োগ হয় না। এখানে অনেকের বয়সও শেষ হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সার্টিফিকেটের বয়সও শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের দাবি একটাই, চাকরি স্থায়ীকরণ চাই।
রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যথেষ্ট পদ নেই। আমরা ইউজিসির কাছে পদ চেয়েছিলাম, কিন্তু ইউজিসি পদ দিয়েছে মাত্র ১০ টা। আমরাও চাই পদ স্থায়ী হোক। কিন্তু ইউজিসি যদি পদ না দেয়, আমাদের কিছু করার নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল তাদের দাবিগুলো লিখে জমা দিতে বলেছেন এবং উপাচার্যের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন। সংবাদ লেখা পর্যন্ত উপাচার্য দপ্তরের সামনে কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি এখনো চলছে। এবিষয়ে উপাচার্যের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ইবাংলা/টিএইচকে/৭জুন, ২০২২