চারপাশে যখন খাবারের মূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তখন সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি।গত কিছুদিনের খাবারের মূল্য বিচার করলে দেখা যায় আকাশছোঁয়া ব্যবধান।
যেখানে কিছুদিন আগেও একটি কেক এর মূল্য ছিলো ১০টাকা সেটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকায়। পাউরুটি ১০টাকার টা ১৫ টাকা, ১২টাকার টা ২০টাকায় বিক্রি হচ্ছে, কলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ১০টাকায়।
তাছাড়া সিঙ্গাড়া ০৬ টাকা (পূর্বমূল্য ০৫ টাকা), রোল ১৫ টাকা (পূর্বমূল্য ১০ টাকা), চা ৭ টাকা (পূর্বমূল্য ০৫ টাকা) পরটা ১০ (পূর্বমূল্য ০৫ টাকা) ও ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ২০ টাকায় (পূর্বমূল্য ১৫ টাকা) একপ্লেট খিচুরি সাথে এক টুকরো মুরগীর মাংস দাম রাখা হয় ৬০ টাকা। সাধারণ ১প্লেট ভাত এবং ভর্তার দাম রাখা হয় ২০টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন, মামা আমরা কি করবো আগে দোকানের খরচ কম হত এখন সেই খরচ দ্বিগুন, তেলের দাম বেশি,আটা ময়দার দাম বাড়ছে তাই খাবারের দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ খানা আয়-ব্যয় জরিপ থেকে জানা যায়, দেশে খানাপিছু গড় মাসিক আয় ১৫ হাজার ৯৪৫ টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশই যায় খাদ্য কেনায়। দরিদ্র সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মাসিক মোট আয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় হয় খাদ্যের পেছনে। আর তখন সাধারণ খাবারের মূল্যস্ফীতির বোঝা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে চাপে বেশি।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিনয়চন্দ্র দেবনাথ বলেন, গত দুই বছর করোনা মহামারীর সঙ্গে লড়াই করে কেটেছে সাধারণ মানুষের জীবন। সেই ধাক্কা সামাল দিতে গিয়ে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন এমনিতে চরম সঙ্কটে তারপর খাবারের এই মূল্যবৃদ্ধি আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য চরম ভোগান্তির কারণ, কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের কথা ভাবতে হবে।
জবি ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইবরাহীম ফরাজি বলেন, বর্তমানে চারিদিকে খাবারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তাই হয়তো টিএসসিতে দাম বেড়ে গেছে তবুও আমরা সেখানে যাব দোকানদের সাথে কথা বলবো আমরা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের জন্য যা উপকার হবে সেই ব্যবস্থা করবো।
টিএসসির খাবারের দাম বৃদ্ধি ও বেহাল দশার কথা শুনে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, ইতোপূর্বে আমরা ভিসি স্যার ও প্রক্টর স্যারদের সহযোগিতায় টিএসসি সংস্কার করেছি। আমি ও আমার সভাপতি রবিবার প্রক্টর স্যারদের নিয়ে টিএসসি পরিদর্শনে যাব। সেখানে তাদের সাথে কথা বলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য যা ভালো হবে তা করার জন্য অনুরোধ করব।
ইবাংলা / জেএন / ১৮ জুন,২০২২