বন্যা পরিস্থিতি নেত্রকোণায় কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।
রোববার (১৯ জুন) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা যায়। তবে একই সঙ্গে এ সকল উপজেলায় সাত শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও ভেসে গেছে প্রায় ৪ হাজারের বেশি পুকুরের মাছ। এ দুই উপজেলায় বন্যার পানি স্থিতিশীল রয়েছে।
জানা গেছে, কলমাকান্দা পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কংশ ও উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে খালিয়াজুরীতে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। প্রতিটি উপজেলায় সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবারের।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাশেম জানিয়েছেন, লেঙ্গুরা ইউনিয়নে প্রায় দুই শতাধিক বাড়িঘরসহ অন্তত পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে।
নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত জানান, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণার কংস, মোমেশ্বরী, ধনু, উব্দাখালিসহ কয়েকটি নদ-নদীর পানি এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ইবাংলা / জেএন / ১৯ জুন,২০২২