বন্যার কারণে কুড়িগ্রামে ৩২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

দেশের উত্তরাঞ্চল কুড়িগ্রামের ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বন্যার পানি প্রবেশ করায় জেলার ২৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রেখেছে শিক্ষা বিভাগ।

বুধবার (২২ জুন) দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে এ তথ্য সংগ্রহ করেন প্রতিনিধিগণ। অন্যদিকে, টানা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ঘরবাড়িতে পানি আটকে থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বন্যাকবলিত মানুষ। এ ছাড়া দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্ট ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি এখনও বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার নিচ রয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। তবে পানি ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, বন্যায় শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে ২৯৪ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, প্রায় ৯ উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ৩৩৮ টন চাল, নগদ ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকার শিশু খাদ্য ও ১৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকার গোখাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ইবাংলা/টিএইচকে/২২জুন,২০২২

Contact Us