নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিবদমান দুটি গ্রুপ পৃথক পৃথক ভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে। এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের পক্ষ থেকে কেক কাটা,আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন,রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজীস সালেকিন রিমন,চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আরিফ প্রমূখ।
অপরদিকে, একই সময়ে কাদের মির্জা ঘোষিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুলের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, কাদের মির্জা ঘোষিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাসান ইমাম বাদল, সাধারণ মোহাম্মদ ইউনুছ,সিরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মিকন প্রমূখ।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। পৌরসভায় চতুর্থ মেয়াদে গত ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিরোধ দেখা দিলে বিবদমান দ্বন্ধের জের ধরে দুটি প্রাণহানির ঘটনাসহ ৫শতাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মি আহত হয় এবং পাল্টাপাল্টি শতাধিক মামলা হয়।
তখন উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কাদের মির্জা একক কর্তৃত্ব হোঁচট খায়। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের এ দ্বন্দ্ব সংঘাতে কাদের মির্জার প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় তারই আপন তিন ভাগনে। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, ফখরুল ইসলাম রাহাত ও সিরাজিস সালেকিন রিমন। তিন ভাগনে কাদের মির্জার ৪৮ বছরের রাজনীতির ক্যারিয়ারকে টেক্কা দিয়ে শক্ত হাতে নেতৃত্ব দেয় তার প্রতিপক্ষ গ্রুপকে। এক পর্যায়ে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ শিবিরের আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়ায় তারা।
ইবাংলা / জেএন / ২৩ জুন,২০২২