১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণ করেনি আদালত। মামলার আবেদনটি করে একই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সরকার।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর মামলার আবেদনটি গ্রহণ না করে ফেরত দেন বিচারক।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম, রাজস্ব পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, উপসচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ ও উপপ্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালেকুর রহমান। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিরও আবেদন হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মুনজুর আলম জানান, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করার পর এ বিষয়ে আদেশ দেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ টাকা ঢাকা ওয়াসা থেকে রাজস্ব আদায় কাজ বাবদ পায়।
আর ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ অর্থবছরে একই কাজ বাবদ সমিতি আয় হয় ৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯০ টাকা। এর মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবছরে সমিতির হিসেবে জমা হয় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৩ টাকা। ৬টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে অবশিষ্ট ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে অন্য আসামিরা আত্মসাৎ করে।
এ ছাড়া সমিতির গাড়িসহ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সমিতির হেফাজত থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সমমূল্যের সম্পদ চুরির অভিযোগ আনা হয়। আত্মসাতের এ বিষয়টি সমবায় অধিদপ্তরের অডিট রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়।
ইবাংলা / জেএন / ২৫ জুন,২০২২