গাজীপুরের একটি কারখানার নারী শ্রমিকের সাথে ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশ সদস্যের ফেসবুকে কথোপকথন হয়। গত এক বছর যাবৎ এই সম্পর্ক চলে, সম্প্রতি ওই শ্রমিক বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে বলে পুলিশ সদস্যের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে পঞ্চগড়ের আটুয়ারী উপজেলার কৃঞ্চপুর গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে আলীব হোসেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার চামুন্ডাই গ্রামের কায়ছার আলীর মেয়ে সেলিনা আক্তার হিমার বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় জিডি দায়ের করেছেন। ওই নারী বর্তমানে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় ভাড়া থেকে একটি কারখানায় চাকরি করেন।
ইতিপূর্বে ওই নারীর বিয়ে হলেও সংসার জীবন চালাতে সক্ষম হননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ওই নারীর পিতা কায়ছার আলী বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকলেও নিজের পিতাকে মৃত বলে এনআইডি কার্ড করছেন। এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় ওই এলাকার ইউপি মেম্বার ও গ্রাম পুলিশের সাথে। জানা গেছে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে সেলিনা আক্তার হিমার। কি কারণে তার বাবাকে মৃত্যু দেখিয়ে এরকম একটা নোংরা কাজ করেছে, এর সঠিক তথ্য দিতে পারেননি।
ওই নারীর পিতা কায়ছার আলী মুঠোফোনে জানান, আমার প্রথম স্ত্রীর সন্তান সেলিনা, বিবাহিত জীবনে বনিবনা না হওয়ায় আমি সংসার ত্যাগ করে নতুন সংসার জীবন শুরু করি। এজন্য হয়তো আমাকে মৃত বলে এনআইডি করেছে। তবে এটি চরম অপরাধ।
পুলিশ জানায়, ফেসবুকে কথোপকথনের মাধ্যমে জানতে পারি, মেয়েটি শারীরিক প্রতিবন্ধী, তার একটি হাত নেই, আমাদের মাঝে ভাই বোনের মত সম্পর্ক ছিল। মাঝে মধ্যে সাহায্য করেছি, টাকা পয়সা দিয়ে। কিন্তু হঠাৎ করে আমাকে বিয়ে করতে বলে। আমি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে সে আমাকে বিভিন্ন ধরনের অপ্রাসঙ্গিক কথা ও হুমকি ধামকি দেয় এবং আমাকে ব্লাকমেইল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তাই আমি এবিষয়ে একটি জিডি করেছি।
অপরদিকে ওই নারী জানান, ২০১৮ সালে ফেসবুকে আমাদের মধ্যে পরিচয় হয়, একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। সম্প্রতি অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। আমি এঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আমি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এখন বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না।
পল্টন থানা সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ ডায়েরির ঘটনায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান কে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইবাংলা/জেএন/৬ জুলাই,২০২২