চীন-মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বালি দ্বীপে বৈঠক

মশিউর আনন্দ:

দু’পক্ষ চীন-মার্কিন সম্পর্ক এবং অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে সার্বিক, গভীর, আন্তরিক ও দীর্ঘক্ষণ মতবিনিময় করেছে। দু’পক্ষই মনে করে যে, এবারের সংলাপ গঠনমূলক হয়েছে। যা পারস্পরিক উপলব্ধি বাড়ানো, ভুল বোঝাবুঝি কমানো এবং ভবিষ্যতে দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ে বিনিময়ের পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, বর্তমানে চীন-মার্কিন সম্পর্ক আগের মেয়াদের মার্কিন সরকারের সৃষ্ট ঝামেলা থেকে বের হতে পারে নি এবং আরো বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এর মূল কারণ হল চীন সম্পর্কে মার্কিন ধারণায় ভুল রয়েছে। এ কারণে চীন ইস্যুতে দেশটির নীতিভুল পথে যাচ্ছে।

ওয়াং ই বলেন, এমন সমস্যা সমাধান করতে ভালোভাবে দু’দেশের শীর্ষনেতার মতৈক্য বাস্তবায়ন করতে হবে। চীন সবসময় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর উত্থাপিত পারস্পরিক সমতা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, সহযোগিতার মাধ্যমে অভিন্ন কল্যাণের নীতি অনুসারে চীন-মার্কিন সম্পর্ক উন্নত করছে। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বাইডেন সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র চীনের ব্যবস্থা পরিবর্তন না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাইদেশটির উচিত চীনা জনগণের সিদ্ধান্তকে সম্মান করা। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র নতুন স্নায়ুযুদ্ধ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাই দেশটির উচিত স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা বাদ দেওয়া।

যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ‘স্বাধীন তাইওয়ানকে’ সমর্থন না-করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাই যুক্তরাষ্ট্রের উচিত চীনের একীকরণ প্রক্রিয়ায় বাধা না দেওয়া। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে সংঘর্ষ না-করার কথা বলেছে, তাই দেশটির উচিত চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতাকে সম্মান করা এবং চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা।

ব্লিনকেন চীন সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ব্যাখ্যা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধ করবে না, চীনের ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে চায় না, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষমতাসীন অবস্থানকে চ্যালেঞ্জও করবে না। স্বাধীন তাইওয়ানকে সমর্থন করবে না। পাশাপাশি, চীনের সঙ্গে সহযোগিতায় উন্মুক্ত মনোভাব পোষণ করে তাঁর দেশ।

ইবাংলা/বায়েজীদ/১১জুলাই,২০২২

Contact Us