দুই দশক পেরিয়েছে টুইন টাওয়ার হামলার

ডেস্ক প্রতিবেদন :

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার (টুইন টাওয়ার) হামলার ২০ বছর আজ। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় নজিরবিহীন সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল দুই হাজার ৯৯৬ জন মানুষ ।

এদের মধ্যে অন্তত ৭ জন ছিলেন বাংলাদেশি। এবং আহত হয় ছয় হাজারের বেশি মানুষ। এ দিনে বিশ্ববাসী দেখেছিল ভয়াবহ এ সন্ত্রাসী হামলার দৃশ্য।

উগ্র মতাদর্শের ইসলামপন্থি সংগঠন আল-কায়েদা আফগানিস্তান থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল। ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বাধীন এই গোষ্ঠী মুসলিম বিশ্বে সংঘাত সৃষ্টির জন্য দায়ী করেছিল আমেরিকা এবং তার মিত্র দেশগুলোকে।

বিমানগুলোতে ছিনতাইকারী ছিল ১৯ জন। এদের মধ্যে তিনটি দলে ছিল পাঁচজন করে, যারা বিমান হামলা চালায় টুইন টাওয়ার ও পেন্টাগনে। পেনসিলভানিয়ায় ভেঙে পড়া বিমানে ছিনতাইকারী দলে ছিল চারজন। প্রত্যেক দলে একজন ছিনতাইকারীর বিমানচালক হিসেবে প্রশিক্ষণ ছিল। এই ছিনতাইকারীরা তাদের পাইলটের ট্রেনিং নিয়েছিল আমেরিকার ফ্লাইং স্কুলে।

পার্ল হারবার হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ভয়াবহতম এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে পরিবর্তন আসে বিশ্বরাজনীতিতে। এর জেরে আফগানিস্তান ও ইরাকে দুটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়ায় যুক্তরাষ্ট্র।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পাশাপাশি হামলা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগনেও। এছাড়া ছিনতাই হওয়া আরও একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল পেনসিলভানিয়ার শাঙ্কসভিলে।

টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনার পর ধ্বংসস্তূপ সরাতে সময় লেগেছিল আট মাসেরও বেশি। ওই স্থানে তৈরি করা হয়েছে একটি জাদুঘর এবং একটি স্মৃতিসৌধ।

এছাড়া পেন্টাগন পুনর্নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রে সময় লেগেছিল প্রায় এক বছর। ২০০২ সালের আগস্টের মধ্যেই পেন্টাগনের কর্মচারীরা আবার তাদের কর্মস্থলে ফিরে যান।

ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পরিপ্রেক্ষিতেই জঙ্গিবাদবিরোধী যুদ্ধ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই যুদ্ধের অংশ হিসাবে ওই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন তাদের হামলায় নিহত হয়েছে বলে দাবি মার্কিন বাহিনীর।

এদিকে, নাইন-ইলেভেন হামলার নতুন ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস। ধারণা করা হচ্ছে, দুই দশক পূর্তিতে এই হামলার আরও বেশকিছু অদেখা ছবি প্রকাশ্যে আনা হবে।

ইতোমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনা নিয়ে এফবিআইয়ের তদন্ত প্রকাশ্যে আনার ঘোষণা দিয়েছেন। অনেকেই আশা করছেন, পুনর্মূল্যায়ন করা কাগজপত্র থেকে এ হামলার সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পৃক্ততা থাকার ব্যাপারে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যাবে।

স্থানীয় সময় শনিবার সকালে টুইন টাওয়ার হামলার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইতোমধ্যে তিনি নিউইয়র্কে এসে পৌঁছেছেন।

ইবাংলা/ টিপি / ১১ সেপ্টেম্বর

Contact Us