নোয়াখালীতে চলাচলের পথে দোকান নির্মাণের অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নে ৭ পরিবারের দীর্ঘ ২০ বছরের চলাচলের পথ বন্ধ করে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ওই চলাচলের পথ উন্মুক্ত রাখার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা।

গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২ টায় ইউনিয়নের পশ্চিম চরমটুয়া নাপিতের খাল পাড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য কামাল হোসেন, মাহিনুর বেগম, রুহুল আমিন, আবদুর রহিম বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে আমরা ৭-৮টি পরিবার নাপিতের খাল পাড়ের জায়গা দিয়ে চলাচল করে আসছি।

আরও পড়ুন…প্রেমে সাড়া না পাওয়ায় নিজের গলায় ছুরি চালালো কিশোর

সাম্প্রতিক সরকারিভাবে খাল সংস্কারের সময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারকে অনুরোধ করলে তারা আমাদের চলাচলের পথে মাটি ভরাট করে সংস্কার করে দেয়।

গত ১৮ জুলাই সকালে হঠাৎ করে আমাদের প্রতিবেশী সফিক উল্যা ও তার ছেলে মহি উদ্দিন লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক আমাদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দোকানঘন নির্মাণের কাজ শুরু করে। এসময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে নানা ধরনের হুমকি-দুমকি দিতে থাকে।

পরে আমরা ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ এসে তাদের দোকান নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। বর্তমানে আমরা অবরুদ্ধ অবস্থায় আছি। আমাদের ৩-৪টা বিবাহযোগ্য মেয়ে রয়েছে। চলাচলের পথের কারণে মেয়েদের বিবাহের জন্য পাত্র পক্ষ এসে ফিরে যাচ্ছে।

বাড়ির ছেলে-মেয়েরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে বাঁধার সম্মূখিন হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তারা আমাদেরকে মামলা-হামলাসহ নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। আমরা প্রশাসনের নিকট এর সুস্থ বিচার দাবি করছি।

আরও পড়ুন… নোয়াখালীতে কিশোরী অপহরণ, গ্রেফতার-২

এদিকে প্রতিপক্ষ সফিক উল্যাহর ছেলে মহি উদ্দিন বলেন, এটা আমাদের মালেকীয় জায়গা। এখানে আমাদের খামার গড়ে তুলবো। তাদের চলাচলের বিকল্প পথ রয়েছে। তার পরেও জোর করে তারা আমাদের জায়গা ব্যবহার করতে চাচ্ছে।

স্থানীয় পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফয়সাল বারী চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সাম্প্রতিক ওই ৭-৮টি পরিবারের সদস্যদের চলাচলের সুবিধার্থে খাল পাড়ের পথটি মাটি দিয়ে সংস্কার করে দেওয়া হয়েছে।

এখন শুনেছি একটি পক্ষ তাদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দোকান নির্মাণ করছে। এ ব্যাপারে থানা-পুলিশ অবগত আছেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।

ইবাংলা/বায়েজীদ/২৩ জুলাই,২০২২

 

Contact Us