২৬ জুলাই “বেইজিং মানবাধিকার ফোরাম, ২০২২”- এর শুভ উদ্বোধন হয়। ‘চায়না সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটস’ এবং ‘চায়না হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের’ যৌথ উদ্যোগে এ ফোরাম আয়োজিত হয়। এর মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে: “ন্যায্যতা, ন্যায়বিচার, যুক্তি ও সহনশীলত: মানবাধিকারের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করা”।
প্রায় ৭০টি দেশের সিনিয়র কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ, এবং চীনে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকসহ প্রায় ২০০ জন প্রতিনিধি এই ফোরামে অংশ নেন।
চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং চায়না সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটস স্টাডিজের সভাপতি বাইমা চিলিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে চীনা সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে মানবাধিকার সুরক্ষার ওপর জোর দিয়ে আসছে। এতে ১৪০ কোটিরও বেশি চীনা জনগণের অর্জন, সুখ ও নিরাপত্তার বোধ বেড়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্ব অস্থিরতা ও পরিবর্তনের এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে এবং জাতিসংঘের ‘এজেন্ডা ২০৩০’ বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সকল দেশের উচিত একটি অভিন্ন লক্ষ্যের সহনশীল বিশ্ব গড়ে তুলতে কাজ করা। মানবাধিকারের উন্নয়ন হওয়া উচিত মানবজাতির একটি অভিন্ন লক্ষ্য।
চীনের গণরাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের একাদশ জাতীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও চায়না হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হুয়াং মেংফু অনুষ্ঠানে বলেন, কয়েকটি দেশ একতরফাবাদ ও ক্ষমতার রাজনীতি অনুসরণ করছে বিধায়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার শৃঙ্খলা ও সুশাসনের ভিত্তি গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
বৈশ্বিক মানবাধিকার উন্নয়নের জন্য পারস্পরিক পরামর্শ, পারস্পরিক শিক্ষা, যৌথ নির্মাণ প্রয়োজন।
স্লোভেনিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ড্যানিলো তুর্ক বলেন, প্রতিযোগিতা ও সংঘর্ষের ওপরে সহযোগিতাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এটা কেবল রাজনীতি ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন, তা নয়, বরং মানবাধিকার উন্নয়নের জন্যও প্রয়োজন।
বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের দুটি সাম্প্রতিক উদ্যোগ তাই সমাদৃত হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেইজিং মানবাধিকার ফোরাম ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি বিশ্ব মানবাধিকার ফোরাম। এই বছর তাঁর দশম অধিবেশন চলছে। ফোরামটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিময় প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। (সূত্র:সিএমজি)
ইবাংলা/মশিউর/২৮ জুলাই,২০২২