শ্রাবনীর মনে এসেছে শ্রাবন আবার

ফারুক সরকার

আদুরী ষোড়শী গৌরী –
আহ্লাদে বেড়ে উঠা শ্রাবনী চেয়ে থাকে
বৈঁচির ঝাড়ে, কি আনন্দে বসে আসে কাঠবিড়ালী,
একটু পরেই যাবে নেচে সে পেয়াড়ার ডালে ।

Islami Bank

করমচা ফলসা আমলকী চালতা ঈর্ষায় দিনগুনে,
খুঁজে ফিরে সবুজের সবুজে কামরাঙ্গায় উঁকি দেয়া
টিয়াদের দলে। আমি থাকি অপেক্ষায় শ্যামলের
সমারোহে আর দেখি নর্তকীর নিতম্ব ধানের আঁচলে।

ঝিঙে ফুল কানে পরে আকন্দ ফুল মাথায় ধরে,
প্রাতঃরাশ শেষ করে মঙ্গয়া ফুল কুড়িয়ে
বেলা শেষে বসে আছে অপেক্ষায় শ্রাবনী আমার – পুকুরপাড়ে।
কাঁককালো চোখে ধরাজল প্রনোয়িনী,
শুনে নাই এখনো সম্বলপুর আর পুরির গল্প।

গ্রীষ্মের দাবদাহ পেড়িয়ে শ্রাবন দিবে
এনে জনজীবনে স্বস্তির এক আনমনা স্নিগ্ধতা।
শ্রাবনী তাই সীমাহীন আহ্লাদে ডাকে, বলে
‘কাঁচমতির পারে চলো ব্যাঙের বিয়েতে।
ভুলে যাও অতিমারি মহামারির ভাবনা অত শত।
শাপলা কদম নেবো উৎসর্গের ডালিতে,
তুমি নেবে ভাললাগার অর্ঘ্যাঞ্জলি।
পুস্পমাল্য আর আশীর্বাদের ধানদূর্বা শেষে
ফিরে এসে দেবো তোমায় দুর্লভ নাগেশ্বর আর
উচ্চশীর গগনশিরীষ। পাবে তোমার
শ্রাবনীর শর্তহীন বহুলতা ভালবাসা’।

one pherma

আমার ব্যাথার জল শ্রাবনীর চোখেই
টল টল করে এনেছে বর্ষার অজস্রতা।
আমি ভাবি কি দরকার পূজার আবার,
তোমার বিনুনিতেই রেখো শুধু
কামিনী বেলী আর স্বর্ঞ্চচাপা আমার।

৩রা অগাষ্ট, ২০২২
সিল্কেবোর্গ, ডেনমার্ক ।

ইবাংলা/জেএন/৩ আগস্ট,২০২২

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us