১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ। লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই প্রাণের স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযোগ্য সম্মান ও মাসিক ২০ হাজার টাকার সম্মানী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী সরকার- ই প্রদান করেছে।
আরও পড়ুন…পরশ পাথর শেখ হাসিনা
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, বাসগৃহ এবং চিকিৎসা সুবিধাসহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতা বর্তমান সরকার প্রদান করে চলেছে। তিনি বলেন,বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ বর্তমান সরকারের কাছে সর্বোচ্চ সম্মানের। আওয়ামী লীগ সরকার তাঁদের কল্যাণে ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে ।
বুধবার (১০ আগস্ট) মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ডিজিটাল আইডি কার্ড ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট বিতরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন হতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জ্বালানীতেল সহ দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি সাময়িক উল্লেখ করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ইউরোপে চলমান যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশগুলোতে কয়েক মাস পূর্বেই দ্রব্যমূল্য দ্বিগুন, তিন গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। সেসময় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী তেলের ক্রয়মূল্য কয়েকগুন বাড়লেও জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি করেননি। কিন্তু ক্রয়মূল্য ক্রমাগতভাবে বেশি হওয়ায় সরকার বর্তমানে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য হ্রাস পেলে বাংলাদেশে তা সমন্বয় করা হবে। তিনি দেশের স্বার্থে এসময়টুকু জনগণকে ধৈর্য্য ধরার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সোয়েব আহমদ, উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোদাচ্ছির বিন আলী, বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মোঃ কামরান চৌধুরী এবং জুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ. মোঈদ ফারুক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানা-সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন…কৃষকের জন্য ভর্তুকি মুল্যে সার- ডিজেলের ব্যবস্হা করার দাবীতে কৃষকদের মানববন্ধন
অনুষ্ঠানে বড়লেখা উপজেলার ১৮৫ জন জীবিত মুক্তিযোদ্ধাকে স্মার্ট আইডি কার্ড ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট এবং ২৩৬ জন মৃত মুক্তিযোদ্ধার উপযুক্ত উত্তরাধিকারীকে ডিজিটাল সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
এছাড়াও, জুড়ী উপজেলার ৭৫ জন জীবিত মুক্তিযোদ্ধাকে স্মার্ট আইডি কার্ড ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট এবং ১০৭ জন মৃত মুক্তিযোদ্ধার উপযুক্ত উত্তরাধিকারীকে ডিজিটাল সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। পরে অপর এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বড়লেখা উপজেলার ৯১ জন এবং জুড়ী উপজেলার ৫৩ জন গ্রাম পুলিশকে বাইসাইকেল প্রদান করেন।
মুক্তিযোদ্ধার আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। গড়ে উঠবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এই হোক আজকের দীপ্ত শপথ।
ইবাংলা/জেএন/১০আগস্ট,২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.