এশিয়া কাপের লড়াইয়ে নামার আগে নিজেদের মধ্যে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল। ঘোষিত ১৭ সদস্যের দলের সঙ্গে জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে লাল ও সবুজ দলে বিভক্ত হয়ে খেলেছে ম্যাচ দুটি। সোমবার (২২ আগস্ট ) ছিল দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ।
এদিন লাল দলের নেতৃত্ব দেন সাকিব আল হাসান ও সবুজ দলের নেতৃত্বে থাকেন আকবর আলী। দুপুরে মিরপুরের শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় লাল দল। শুরুতে উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বড় রান না পাওয়ার যে হতাশা সেটি গুছানোর একটা চেষ্টাও দেখিয়েছেন আফিফ-মোসাদ্দেকরা।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
লাল দলের ওপেনার আনামুল হক বিজয় ১৩ (১০) রান করে শরিফুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এবাদত হোসেনের বলে। ১৭ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৬০ রান।
ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে সাকিব আল হাসান টেনে নেন ৭৭ রান পর্যন্ত। ১৯ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করা সাকিব আল হাসানকে বোল করে জুটি ভাঙ্গেন শেখ মেহেদী।এরপর ১৩ তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১৪২ রানের মাথায় ৩৪ বলে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৬ রান করা মিরাজকে বোল্ড করে ফেরান নাসুম আহমেদ।
সাকিব-মিরাজ বিদায় নিলেও মাত্র ২৩ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ঝোড়ো অর্ধশতক তুলে নেন আফিফ হোসেন। বরাবর ৫০ রান করার পর স্ট্যাম্পিং হন নাসুমের বলে। তবে মাহমুদউল্লাহ রান তোলেন মন্থর গতিতে। ১২ বলে ১ চারে করেন ১৩ রান। শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেনের ১৩ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় করা ৪৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটে ২০১ রান তোলে লাল দল।
সবুজ দলের পক্ষে ২ উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও ১ উইকেট করে নেন এবাদত হোসেন এবং শেখ মেহেদী। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সবুজ দলের দুই ওপেনার মোহাম্মদ রবিন ১০ রান ও পারভেজ ইমন ৯ রান করতেই ২.১ ওভার শেষে নামে বৃষ্টি। এরপর আর মাঠে গড়ায়নি বল।
ইবাংলা/জেএন/২২ আগস্ট,২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.