বাইক লেন হলেই দুর্ঘটনা কমে যাবে – সেভ দ্য রোড

ইবাংলা ডেস্ক

বিআরটিএ অযাচিত বিভিন্ন ধরণের সিদ্ধান্ত জনগণের ভোগান্তি বাড়াতে চাপিয়ে দিচ্ছে, অথচ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-আমলা ও দপ্তরের উদ্যেগে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাইক লেন হলেই দুর্ঘটনা কমে যাবে বলে জানিয়েছেন সেভ দ্য রোড নেতৃবৃন্দ।

Islami Bank

আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান

আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত রাখার লক্ষ্যে একমাত্র স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেভ দ্য রোডের মহাসচিব শান্তা ফারজানা ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতিত মোটর সাইকেল ক্রয় করতে পারবে না’ এমন সিদ্ধান্তের সাথে দ্বিমত পোষণ করে ২৮ আগস্ট প্রেরিত এক বিবৃতিতে আরো বলেন, প্রায় ৩৭ লাখ ৬০ হাজার মোটর সাইকেল-এর জন্য সবার আগে জরুরী ছিলো- বাইক লেন।

সেই বাইক লেন না করে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব-আমলা আর সংশ্লিষ্ট দপ্তর-উপদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা আছে দুর্নীতির রামরাজত্ব তৈরির চেষ্টায়। যে কারণে বিআরটিএর ড্রাইভিং লাইসেন্স বিভাগে গণভোগান্তিতে পরতে হয় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে। সেখানে দালালদের সাথে চুক্তি ব্যতিত কোন ধরণের লাইসেন্সই পাওয়া যায় না বলে গণমাধ্যমে অসংখ্য সংবাদ বিভিন্ন সময় প্রকাশের পর সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবিরা এর বাস্তবতা সরেজমিনে দেখেছে বিভিন্ন সময়।

‘লাইসেন্স সিন্ডিকেট’কে আরো গতিশীল করে কোটি কোটি টাকা উৎকোচ নেয়ার সুযোগ করে দিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা করে সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতিত মোটর সাইকেল ক্রয় করতে পারবে না’ সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরং বাইক লেন কার্যকরে মন্ত্রী-সংসদীয় কমিটি, সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

one pherma

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো উল্লেখ করেন, প্রাণের পদ্মা সেতুসহ সকল সড়ক-মহাসড়ক ও সেতুতে পৃথক বাইক লেন না করা পর্যন্ত দুর্ঘটনা কোনভাবেই কমার সম্ভাবনা নেই। বাইকে লেন থাকায় সড়কপথ দুর্ঘটনা কম হয়; উন্নত বিশ্বের এমন ৪৪ টি এবং মধ্যম আয়ের ৪৮ টি দেশের উদহারণ টেনে সেভ দ্য রোড নেতৃবৃন্দ দাবি করেন।

আরও পড়ুন…চাঁদা না পেয়ে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীর ওপর হামলার অভিযোগ

‘উন্নয়নের রোল মডেল’ দাবি করা বাংলাদেশই একমাত্র দেশ; যে দেশ মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার ১ বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও কোন সড়ক-মহাসড়ক বা সেতুতে ১ কিলোমিটারও বাইক লেন করতে পারেনি কেবলমাত্র মন্ত্রী-আমলাদের দুর্নীতি-অপরিকল্পনা আর অদক্ষতার কারণে।

ইবাংলা/জেএন/২৮ আগস্ট,২০২

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us